নিজস্ব প্রতিবেদক :
জেতার গ্যারান্টি না পেলে মির্জা ফখরুলরা নির্বাচনে আসবেন না বলে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি বলছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না, এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন আদৌ নির্বাচন হবে কি না। এ নিয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সময়মতো হবে, সংবিধান অনুযায়ী হবে। আওয়ামী লীগ হেরে গেলে তখনই বিএনপির চোখের একমাত্র নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা কি সুইসাইড করব নাকি?
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) তো নির্বাচন যেকোনো মূল্যে জিততে চায়। জেতার গ্যারান্টি তাদের কে দেবে? নির্বাচন কমিশন দেবে? এই গ্যারান্টি না দিলে তারা নির্বাচনে আসবে বলে মনে হয় না। নির্বাচনে তারাই জিতবে, এই গ্যারান্টি তাদের পেতে হবে। তা না হলে ফখরুলরা নির্বাচনে আসবেন না। তাদের মূল কথা তো এটাই। ক্ষুধায় ক্ষুধায় জ্বলছে তারা। বহুদিনের ক্ষুধা তো।
কাদের বলেন, ডিসেম্বর থেকে কতো কর্মসূচি দেখলাম। ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে খালেদা জিয়া দেশ চালাচ্ছে। তা কি হয়েছে? তারা তো এ পর্যন্ত কিছু করতেই পারেনি। শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগের গরুর হাট। আন্দোলন করতে পাবলিক লাগবে। তারা নেতাকর্মীদের নিয়ে কিছু কর্মসূচি পালন করেছে। এ দিয়ে ক্ষমতায় আসা সম্ভব না। আন্দোলন করতে পাবলিক লাগে।
ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, বিএনপির কয়েকজন নেতা সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওখানে এক সপ্তাহ ছিলাম। আমার কাছে এ ধরনের কোন তথ্য নেই। আমি এ ধরনের কোন তথ্য জানি না। সিঙ্গাপুর ছোট একটা জায়গা, সেখানে এ ধরনের বৈঠক হলে গোপন থাকার কথা নয়।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। অশান্তি করলে অশান্তির জবাব আছে। উপযুক্ত জবাব আছে। আমরাও প্রস্তুত। তারাও প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। তারা নির্বাচনে বাধা দিতে প্রস্তুত, আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রস্তুত। দিস ইজ মাই লাস্ট ওয়ার্ড।
চীনের সঙ্গে কি দূরত্ব বজায় রাখবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো দূরত্ব নেই। আমাদের অবকাঠামো খাতে চীনের একটা ভূমিকা আছে। সেটাকে তো আমরা বাইপাস করতে পারবো না। তাদের সাহায্য আমরা নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে। এটা তো জি টু জি প্রকল্প। তাদের সরকারের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমরা কারো সঙ্গে শত্রুতা চাই না। সবার সাথে বন্ধুত্ব, এটাই আমাদের নীতি। ফখরুল সাহেবরা যে অর্থে বলেন সেই অর্থে আমরা চিন্তা করি না। আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তারা আমাদের নির্বাচনে এসে হস্তক্ষেপ করবে, আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এমন উদ্ভট চিন্তা আমরা করিনি। আমাদের ক্ষমতায় বসাতে দেশের জনগণ, কোন দেশ বা অন্য কোনো বন্ধু নয়। বিদেশে বন্ধু আছে, প্রভু নেই।