ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘চীনের ঋণ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে’

সিএনএনবাংলা২৪ ডেস্কঃ চীনের ঋণ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। ঋণগ্রহণকারী এক ডজন দরিদ্র দেশ এখন অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি। এ অবস্থায় শত শত বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণের জাঁতাকলে পড়েছে এসব দেশ।

এপির এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, চীনের কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া পাকিস্তান, কেনিয়া, জাম্বিয়া, লাওস এবং মঙ্গোলিয়াসহ এক ডজনের মতো দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ, খাদ্য এবং জ্বালানির জন্য রাজস্বের একটি বড় অংশ খরচ করছে। এই দেশগুলোর ঋণের সুদ পরিশোধ করতে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও চলে যাচ্ছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশগুলো তাদের বিদেশি ঋণের ৫০ ভাগ পর্যন্ত চীন থেকে নিয়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারি রাজস্বের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে জাম্বিয়া এবং শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই ঋণখেলাপি হয়ে গেছে। এমনকি বন্দর, খনি এবং বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে অর্থায়নের জন্য ঋণের সুদও পরিশোধ করতে পারেনি। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ঋণ মাফ করতে চীনের অনীহা এবং কত টাকা ঋণ দিয়েছে এবং কোন শর্তে ঋণ দিয়েছে, সে সম্পর্কে চরম গোপনীয়তা। যা অন্যান্য প্রধান ঋণদাতাদের সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরো খবর আরব অঞ্চলকে সংঘাতময় করতে দেব না : সৌদি প্রিন্স

পাকিস্তানে লাখ লাখ টেক্সটাইল শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। কারণ দেশটির অনেক বেশি বিদেশি ঋণ রয়েছে এবং বিদ্যুত্ চালু রাখা এবং মেশিনগুলো চালানোর সামর্থ্য নেই। কেনিয়ার সরকার বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য নগদ সঞ্চয় করতে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীর বেতন আটকে রেখেছে। এক বছর আগে শ্রীলঙ্কা খেলাপি হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া দেশটির অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, চীন যদি দরিদ্র দেশগুলোকে তার ঋণের বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে আরো খেলাপি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

 

এইচ এম কাদের সিএনএনবাংলা২৪