ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালীতে জলকদর খালের সীমানা নির্ধারণ ও উদ্ধারে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী:

১৫০ বর্গমাইলের বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যের বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে জলকদর খাল। ঐতিহ্যবাহী জলকদর খাল বাঁশখালীকে ইকোনমিক জোনে রুপ দিয়েছে। ঐতিহ্যের এ জলকদর খাল প্রভাবশালী ও ভূমিদস্য চক্র অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। আরেক দিকে ভাঙণের খেলায় দিনদিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় সংকুচিত হয়েছে এই খাল। জলকদর দখল ও গতিপথে বাধা সৃষ্টি করার ফলে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে পানির স্বাভাবিক চলাচলে ব্যঘাত ঘটায় তলিয়ে যায় কৃষকের ফসলি জমি ও উপকূলবর্তী জনসাধারণের বসতঘর। সম্প্রতি হাইকোর্ট জলকদর খাল উদ্ধারের জন্য প্রাথমিকভাবে সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দেন।

 

এ দিকে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে হাইকোর্টের নির্দেশে বাঁশখালীর জলকদর খালের অবৈধ স্থাপনা
উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন। উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে সীমানা নির্ধারণ ও উদ্ধার কার্যক্রম খানখানাবাদ ঈশ্বর বাবুর হাট অংশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল খালেক পাটোয়ারী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিনসহ বাঁশখালীর বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা জলকদরের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। সীমানা নির্ধারণের জন্য জেলা প্রশাসক ৬ জন সার্ভেয়ার নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা একজন সার্ভেয়ার দিবে। আমরা সীমানা নির্ধারণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বুঝিয়ে দিবো।’

 

এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার বলেন, ‘জলকদরের মূল সীমানা নির্ধারণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কেউ যেনো স্থাপনা নির্মাণ না করে তা অবগত করা হয়েছে। জলকদর খাল উদ্ধারের প্রাথমিক কাজ হিসেবে সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করেছি।’

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪