ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার জেলার আইনশৃঙ্খলার চিত্র পাল্টে দিলেন পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম

কক্সবাজার অফিস

পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা রয়েছে। সে ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন ১ বছর আগে কক্সবাজারে যোগদান করা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম (বার)। যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তার প্রচেষ্টায় জেলা পুলিশের সর্বস্তরে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। জনসাধারণের দোরগোড়ায় আধুনিক পুলিশিং সেবা পৌঁছে দিতে রাতদিন নিরলস কাজ করে চলেছেন পুলিশ সুপার।

 

পুলিশের রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল ইসলাম দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন কক্সবাজার জেলাসহ দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্য। পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি কক্সবাজারবাসীর নজর কেড়েছেন। স্থাপন করেছেন অনন্য উদাহরণ।

 

গেলো বছরের আগষ্ট মাসের ২৫ তারিখ, বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম। পুলিশ সুপারের আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ কক্সবাজার জেলার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।

 

উল্লেখ্য, মো. মাহফুজুল ইসলাম ইতোপূর্বে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর উপপুলিশ কমিশনার ছিলেন।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে , পুলিশ সুপারের সাথে যদি কোন ধনী লোক ও গরীব লোক দেখা করতে যান, তাহলে পুলিশ সুপার সবার আগে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেন যে, বৃদ্ধ লুঙ্গিপরা লোকটি দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তাকে আগে দেখা করার সুযোগ করে দেন পুলিশ সুপার। শুধু তাই নয়, পুলিশ সুপার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ওই অসহায় মানুষটির সমস্যার কথা শোনেন ধৈর্য্য ধরে।

 

এছাড়া যেকোনো বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট সার্কেল অথবা ওসিকে বলে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেন। মানবিক পুলিশ অফিসার হিসাবে পুলিশ সুপার বেশ প্রশংসা অর্জন করে চলেছেন।

 

ওই দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল হোসেন নামের এক বৃদ্ধ বিদেশ যাওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এক প্রতারকের হাতে দিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ সুপারের চেষ্টায় প্রতারকের নিকট থেকে ওই ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ সুপার আবুল হোসেনকে সেই টাকা ফেরত দেন।

 

এছাড়া শীত মৌসুমে তীব্র শীতে যারা কষ্ট পাচ্ছিলেন তাদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র দেখে পুলিশ সুপার রাতের আঁধারে কম্বল নিয়ে বিভিন্নস্থানে ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বলও বিতরণ করেন।

 

জানা যায়, পুলিশ সুপারের যোগদানের পর থেকে জেলার ট্রাফিক বিভাগ নড়েচড়ে বসে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে আগের তুলনায় দুর্ঘটনা কম ঘটছে। তাছাড়া হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালক, রেজিষ্ট্রেশনবিহীন গাড়ি জব্দ করে কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব আদায় করেছেন।

 

পুলিশ সুপারের সব থেকে বড় অর্জনে বলা যায়, চলতি বছর মে মাসের ১৫ তারিখে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতায় বিনা টাকায় ১০৬ জনকে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কক্সবাজার জেলাবাসীকে সেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কোনো অপশক্তি যাতে কক্সবাজারে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য জেলা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মাদক এবং চোরাচালান বন্ধে জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে জেলা পুলিশের কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাবে- এমন বিশ্বাস পুলিশ সুপারের।

 

জেলা পুলিশের ফেসবুকসহ কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যেসব পোস্ট করা হয়েছে, তার কমেন্টে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ কমেন্টে পুলিশ সুপারকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশংসা করা হয়েছে।

 

পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম কক্সবাজারে সন্ত্রাস ও মাদক দমনে কঠোর ভুমিকা রাখবেন এবং সবসময়ই পেশাদারিত্ব বজায় রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন কক্সবাজার শহরসহ পুরো জেলাবাসী।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪