ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালাকের নোটিশ পাঠালেন স্ত্রী: মুখ খুললেন জাহাঙ্গীর

নিজস্ব সংবাদদাতা : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পর এবার তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে তালাকের নোটিশ দিয়েছেন স্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নোটিশটি। গত ৩০ এপ্রিল জাহাঙ্গীরের স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা তালাকের নোটিশটি পাঠিয়েছেন।

 

নোটিশে তিনি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার ও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, নোটিশ পাঠানোর পর সম্পর্কের উন্নতি না হলে ৯০ দিন পর চূড়ান্তভাবে তালাক কার্যকর হবে। নোটিশের অনুলিপি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে দেওয়া হয়েছে। নোটিশে সাক্ষী হিসেবে আছেন কাজী তৈয়াবুর রহমান ও কাজী নাজমুস সাকিব। নোটিশের বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা আমার পারিবারিক বিষয়।

 

যারা বিষয়টি ছড়াচ্ছেন তারা আমাকে হেও করার জন্য করছেন। আমি এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নোটিশে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের বাসিন্দা কাজী ইকবাল বাহার ও মিসেস ফরিদা ইকবালের মেয়ে কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়ীর সঙ্গে গাজীপুরের মিজানুর রহমান ও জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতন ও অত্যাচার করায়, নিয়মিত ভরণপোষণ না দেওয়ায়, সংসার জীবনে অশান্তি শুরু হয়।

 

এসব অভিযোগের কারণে জয়ী ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে তালাকের নোটিশ দেন। উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ মে) বিকেলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

এর আগে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীর ২০২১ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দলের ২২তম সম্মেলনে নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল। এর পরপরই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানার তালাকের নোটিশটি ছড়িয়ে পড়ে।