ই-পেপার | সোমবার , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খুলনায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে : সিভিল সার্জন

শেখ আব্দুল মজিদ,খুলনা

খুলনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। শনিবার (৮ জুলাই) নতুন করে আরও ১০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।

রোববার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিভিল সার্জন আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার ও মশার বংশবিস্তাররোধ করা প্রয়োজন। পরিত্যক্ত পাত্র, ফুলের টব বা ডাবের খোসায় জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এ কারণে কোন পাত্রে পানি জমতে দেয়া যাবেনা। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, এর থেকে সুস্থ হতে এন্টিবায়োটিক সেবনের কোন প্রয়োজন নেই। খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও সকল উপজেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, খুলনা জেলায় সংঘটিত অপরাধমূলক ঘটনাগুলোর ওপর পুলিশের নজরদারি রয়েছে। অনেকগুলো ঘটনার কারণ উদঘাটন ও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রমের মাধ্যমে অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর খুলনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ সভায় জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়নের ক্ষেত্রে ডোপটেস্টের রিপোর্ট দেখে লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। বিআরটিএ’র নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি ও হাতের আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ শেষে ইস্যু করা বারকোড সম্বলিত কাগজে প্রিন্ট করা লাইসেন্স থাকলে বৈধভাবে মোটরযান চালানো যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পণ্যের দোকান অথবা বিক্রয়ের স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মাদকের বিস্তাররোধ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। মাদক সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে যথানিয়মে ও সঠিক সময়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত জুন মাসে ১৭৫টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মে মাসে দায়ের হওয়া মামলার সমান। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে জুন মাসে ১২৩টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মে মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ২৫টি কম।

সভায় খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪