লাইফস্টাইল, ডেস্ক:
নানাভাবে যত্ন নেওয়ার পরও শিশুর সর্দির সমস্যা লেগেই থাকছে? এমন সমস্যা নিয়ে আপনি একা নন, হিমশিম খাচ্ছে আরও অনেক মা-বাবাই। শিশুর সর্দির এই সমস্যা সারাতে ঘরোয়া সমাধানই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে বাড়িতে থাকাই একটি পরিচিত উপাদান। সেটি হলো ঘি। শিশুর বয়স ছয় মাস পার হলে তার খাবারে অল্প অল্প করে ঘি যোগ করতে পারেন। নিয়মিত ঘি খাওয়ালে ঠান্ডার সমস্যাসহ আরও অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘি শিশুর জন্য আরও কী উপকার করে-
চর্বিযুক্ত যেসব খাবার স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো হলো ঘি। এতে থাকা কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড (CLA) স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শিশুর খাবারে ঘি যোগ করলে তার ওজন স্বাস্থ্যকর উপায়ে বৃদ্ধি পাবে।
ঘি-তে থাকে ভিটামিন ভিটামিন এ, ডি, ই, কে। এসব উপাদান আমাদের হাড়ের গঠনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘি খাওয়ালে তা শিশুর হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও দারুণ কার্যকরী। ঘি-তে থাকা ভিটামিন শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও কাজ করে।
শিশুকে যদি প্রতিদিন এক চামচ করে ঘি খাওয়ান তবে তার কোষ্ঠকাঠিন্যসহ সব ধরনের হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে এটির শিশুর ক্ষুধাও বাড়াতে কাজ করবে। তাই যেসব শিশু খেতে চায় না, তাদের খাবারে ঘি যোগ করতে পারেন। এতে শিশুর খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। যেসব শিশু ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সে ভুগছে, তাদের খাবারেও ঘি রাখতে পারেন।
শিশুকে সুস্থ রাখতে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখা জরুরি। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে ঘি। প্রতিদিন এই উপকারী উপাদান খাওয়ার অভ্যাস করলে তা শিশুকে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কাজ করবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস হলো ঘি।
শিশুকে যেভাবে ঘি খাওয়াবেন
শিশুকে কীভাবে ঘি খাওয়াবেন তা অনেক মা-বাবাই বুঝতে পারেন না। এক্ষেত্রে ১ চামচ ঘি সামান্য গরম করে নিতে হবে। এরপর তাতে ১টি লবঙ্গ দেবেন। ঘি গরম হয়ে এলে লবঙ্গটি তুলে ফেলে দেবেন। এই ঘি হালকা গরম থাকতেই শিশুকে খাওয়াবেন। এভাবে নিয়মিত খাওয়ালে শিশুর নাকে তো সর্দি থাকবেই না, সেইসঙ্গে সে আরও নানাভাবে সুস্থ থাকবে।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: