ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদকর্মীকে হেনস্থা করা ভাঙ্গার সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ

ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কাজী শামসুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমালোচিত সেই প্রধান শিক্ষক অরুণ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২১ মে) ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক দূর্ণীতি দমন কমিশন ফরিদপুর বরাবর প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্রের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা, পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগে অনিয়মসহ ব্যাপক দূর্ণীতি প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন আক্তারুজ্জামান নামের এক সংবাদকর্মী। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত-এ-খুদা।

 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক অরুণ চন্দ্র দত্ত তিনি বিদ্যালয়ে সম্প্রতী একজন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে একজন মহিলা প্রার্থীকে বিভিন্ন কলাকৌশলে নিয়োগ দেন। এছাড়াও অরুন চন্দ্রের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ আতœসাত এমনকি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগনদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে অভিযোগপত্রে। সে বিষয় গুলি নিয়ে ইতোপুর্বে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়- অরুন চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের তদন্ত টিম গঠন করে তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান অভিযোগকারী আক্তারুজ্জামান।

 

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্র দত্ত জানান, অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তার জবাব দিবেন!

 

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম কুদরত-এ-খুদা জানান, প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গতকাল তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় সংবাদকর্মীর সঙ্গে দূর্ব্যবহার করার একটি ভিডিও তিনি দেখেছেন এবং বিষয়টি তিনি ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মহদয়কে অবগত করেছেন। একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি কখনোই এমন আচরণ করতে পারেন না। বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে তিনি পরবর্তিতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী জোবায়দা লতিফ জানান, আমার জানামতে বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগে কোন অনিয়ম হয় নি। প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ তিনি পান নি। এছাড়া কোন সংবাদকর্মীর সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের কোন বাকবিতন্ডা হয়েছে কি না তাও তিনি অবগত নন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থতায় ভুগছেন।

 

উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্রের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির তথ্য জানতে চাওয়ায় দুইজন সংবাদকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হেনস্থা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ভাঙ্গা থানায় প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্রের বিরুদ্ধে আইনগত বিচার দাবি করে ভাঙ্গা থানায় আরও একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোঃ আক্তারুজ্জামান।