নিজস্ব প্রতিরবদক,ঢাকা:
ঢাকা: অবৈধ প্রবাসীদের ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। লন্ডনে ব্রিটিশ হোম অফিসে স্বরাষ্ট্রবিষয়ক প্রথম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়।
শুক্রবার (১৭ মে) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক আয়োজন করে। লন্ডনে ব্রিটিশ হোম অফিসে আয়োজিত এ বৈঠকে এসওপি সই হয়। অবৈধ অভিবাসনবিরোধী ব্রিটিশ মন্ত্রী জেমস টমলিনসন মাইনরস কেসি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জেডব্লিউজি বৈঠকের উদ্বোধন করেন। তারা দুদেশের মধ্যে এসওপি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য এসওপি ২০১৭ সালের আগে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ইইউ এসওপির উত্তরসূরি।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী স্যার অ্যাডওয়ার্ড হিথের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দুটি কমনওয়েলথ দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্মের কথা স্মরণ করেন।
অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্দিষ্ট সংখ্যক অনথিভুক্ত বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়ে আসছে। এ কারণেই এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা কম। বাংলাদেশ হোম অফিস হাইকমিশনের সহায়তায় ব্রিটিশ হোম অফিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। সুসংবাদটি হলো- বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত নাগরিকদের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যেও নেই তবুও ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের এ সমঝোতা স্মারককে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।
এসওপিতে স্বাক্ষর করা ছাড়াও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে দক্ষ ও উচ্চ মেধাবী অভিবাসনসহ সুশৃঙ্খল অভিবাসনের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে। একইসঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, প্রত্যর্পণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করেছে।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবির মেনন ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের মহাপরিচালক বাস জাভিদ নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি এবং লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।