আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) একটি ইউনিটের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষোধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশটির এক কর্মকর্তার বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এক্সিউস এই তথ্য জানিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ ইউনিটটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আর্থিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা পাবে না।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাবিষয়ক সংস্থা প্রোপাবলিকা গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্যানেল কয়েক মাস আগে দখলদার ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট ইউনিটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মতামত দেয়। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কোনো ব্যবস্থা নেননি। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা শোনা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি এই সেনা ইউনিটটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে মার্কিন প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে শনিবার রাতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত হবে না। আমাদের সেনারা সন্ত্রাসী দানবদের সঙ্গে লড়াই করছে।’
১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর তারা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন শুরু করে। এই অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে পশ্চিমতীরে সবসময় সংঘর্ষ লেগে থাকে।