আবু নাসের খান লিমন,মুন্সীগঞ্জ:
মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সংযোগ স্হল ডহরি-তালতলা খালের উপর নির্মাণাধীন বালিগাঁও সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে চলতি বছরের জুনের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা ৷ লৌহজং উপজেলার শেষ সীমানা টঙ্গীবাড়ী এবং লৌহজং উপজেলাকে যুক্ত করবে এই সেতু। ২ লেন বিশিষ্ট এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার।
দুই উপজেলায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক প্যাকেজে তিনটি কংক্রিট সেতুর মধ্যে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ৪১ মিটার বলই সেতু, লৌহজং উপজেলার ৩৮ মিটার খেতেরপাড়া সেতু ও ডহরি- তালতলা খালে ৯৮ মিটার বালিগাঁও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের চলমান কাজ প্রায় শেষের দিকে৷ এছাড়া মুন্সীগঞ্জ জেলাকে বেইলি সেতু মুক্ত করতে কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ৷ সড়ক বিভাগের অধীনে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর স্থানে কংক্রিটের সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপনের প্রকল্প চলমান রয়েছে৷ গত ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়৷
সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ২০২৪ সালের জানুয়ারি। পরে স্ট্রেকশন হয়ে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। সেতুর নির্মান কাজ করছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এনডিই) কোম্পানি। ইছামতী নদীর (ডহরি-তালতলা) লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি দুই উপজেলা মিলে নির্মান করা হচ্ছে এই সেতুটি। পূর্বপাড় চলছে নদীর মাঝামাঝি পিলারের উপর সেতুর বিম নির্মাণের কাজ। এছাড়া বলই ও খিদিরপাড়া সেতুর বিমের কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷
তবে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশে পুরনো সেতুর গাঁথুনির পিলারের উপর বিম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা সার্বক্ষণিক এ কাজের তত্ত্বাবধায়ন করছেন। এনডিই সাইট ইঞ্জিনিয়ার রতন জানান, দ্রুত গতিতে সেতুর কাজ চলছে৷ সব মিলে প্রায় ১শ জনবল এখানে কর্মরত রয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সড়ক ও জনপদ (সওজ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাকিব প্রতিবেদককে জানান, সেতুর কাজ চলতি বছরের জুনের আগে শেষ হবে৷ সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে খুব গুরুত্ব সহকারে করা হচ্ছে। সেতুর ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ কম্পিলিট হয়ে গেছে। খেতেরপাড়া সেতুতে সাবেক গাঁথুনির উপর বিম নির্মাণ করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এভাবেই সেতুর ডিজাইন করা হয়েছে তাই পরনো সেতুর গাথুঁনি পিলারের উপর থেকে বিম তৈরী করে কাজ করা হচ্ছে।