চট্টগ্রাম অফিস
ইয়াশরা ফাতেমা ও উমাইজা মাহদিন। ওদের বাবা আতিকুল্লাহ খান সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহের চিফ অফিসার। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুঃসংবাদটি শোনার পর থেকে গত চারদিন ধরে ঘুম নেই এ দুই বোনের।
তাদের আরেকটি ছোট বোন আছে। নাম খাদিজা আরবিয়া। তবে সে ছোট হওয়ায় দুঃসংবাদের বিষয়টি বুুঝে না।
নগরীর নন্দনকানন এলাকায় আতিকুল্লাহ খানের বাসায় এখন সুনসান নীরবতা। মায়ের মোবাইলে রিং বাজলেই দুই বোন দৌড়ে যায়—এই বুঝি বাবার ফোন এলো। কিন্তু ফোন আসে না। বাবার সঙ্গে কথা বলাও হয় না।
তিন বোনের মধ্যে ইয়াশরা ফাতেমা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সে জানে বাবাকে দস্যুরা ধরে নিয়ে গেছে। তার জীবন বিপন্ন। যে কোনো সময় খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে। বাবার জন্য নামাজ পড়ে, দোয়া করে ফাতেমা।
ফাতেমার চাচা আবদুন নূর আসিফ বলেন, ‘গত চারদিন ধরে বড় দুই বোন বাবার জন্য খুব দুঃশ্চিন্তা করছে। ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করছে না। জাহাজ জিম্মি হওয়ার সংবাদ জানার পর আমাদেরও দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই।’