সালেহ আহমদ (স’লিপক):
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শ্যামেরকোনা বাঘেরঘর এলাকায় নিজ মালিকানাধীন জমির উপর তৈরী রাস্তা মেরামত করতে গিয়ে বাধাঁর মুখে পড়েছেন সোলেমান মিয়া ও আনকার মিয়া গংরা।
জানা যায়, প্রায় দেড় শতাধিক বছরের পুরাতন বাড়িতে বসবাস করা বাঘেরঘর গ্রামের সোলেমান মিয়ার চাচা আনকার মিয়া তাদের নিজস্ব জমি শ্যামেরকোনা ১০২নং মৌজার, খতিয়ান নং- ২৭৭, দাগ নং- ৯৬১ এর ০৯ শতক জমির উপর দিয়ে যাতাযাতের সুবিধার জন্য পুরাতন রাস্তাটি সংস্কার করার চেষ্টা করেন। তাদের প্রতিবেশী সানু মিয়া ও সিরাজুল ইসলাম রাস্তা সংস্কারে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছেন। তারা দাবী করেন ৯৬০নং দাগে ১১শতক জমি জালাল মিয়ার নিকট থেকে ক্রয় করেন সানু মিয়া। আর এই জমির কিছু অংশ অত্র রাস্তায় প্রবেশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে বিগত ১০ বছর পূর্বে ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া, সাবেক মেম্বার রোশন আলী (বর্তমানে মৃত), আরজু মিয়া, আনোয়ার আলী, ফজলু মিয়া, সানু মিয়ার শ্বশুর হবিব উল্লা সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ করেন।
সালিশী বৈঠক থেকে ৯৬০নং দাগ সনাক্ত করে সীমানা নির্ধারন করে দেওযা হয়। সেই সীমানা মোতাবেক সোলেমান মিয়া রাস্তার রক্ষার্থে হালকা দেয়াল তৈরী করেন। গত ২০ জানুয়ারী সানু মিয়া, সিরাজুর ইসলাম, সামাদ মিয়া দেয়ালের কিছু অংশ ভেংঙ্গে ফেলে ও সোলেমান মিয়ার বাড়িতে হামলা করতে আসে।
বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ৩১ জানুয়ারী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সুলেমান মিয়া ও জমশেদ মিয়া গংদের বিবাদী করে মৌলভীবাজার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২৬/২৪( সদর) পিটিশন দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিনাবিচারে মামলা তুলে আনেন। বর্তমানে সোলেমান মিয়া তার রাস্তার কাজ শেষ করতে গেলে আবারও সানু মিয়া গংরা তাদেরে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে আনকার আলী অভিযোগ করেন।
আনকার আলী বলেন, আমার বাপ দাদার আমল থেকে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছি। সানু মিয়া গংরা ১৯৯৫ সালে এখানে বাড়ি করেন। আমাদের নিকট থেকে ৯৬০নং দাগে ১১ শতক জমি ক্রয় করেন। এই বিক্রিত জমির দলিলে রাস্তা সংক্রান্ত কোন বিষয় লিখা নেই। এই দাগের সীমার মধ্যে তারা আছে। আমাদের রাস্তা আলাদা। এখন তারা আমাদের রাস্তা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে।
এ ব্যাপারে সানু মিয়া ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুর্ববর্তী ও বর্তমান ম্যাপে এখানে কোন রাস্তা ছিল না। এছাড়া আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা গিয়েছে। আনকার আলীর দেয়াল ভাংঙ্গা ও বাড়িতে আক্রমন করার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।
৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে আমার নিকট মৌখিক ভাবে অভিযোগ এসেছে। লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে উভয় পক্ষকে নোর্টিশ করবো।