শওকত আলম, ককসবাজার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই এবার আলোচিত হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সচিব গণমাধ্যমের কাছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। ঈঙ্গিত প্রদানের পরপর সারা দেশের ন্যায় ঈদগাঁওতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে।
এ উপজেলার আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করছন। নির্বাচনে নিজের পক্ষে সমর্থন ও দোয়া চেয়ে তাঁরা মাঠে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের নিয়েও মত বিনিময় করছেন।
নির্বাচন করার ইঙ্গিত দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুরনো প্রার্থী। তাই এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নতুন ও পুরাতন মুখের দেখা মিলবে।বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম ইতোমধ্যে গ্রামীন জনপদে উচ্চারিত হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম লোকমুখে শোভা পাচ্ছে তাঁরা হলেন
কক্সবাজার সদর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট সলিম উল্লাহ বাহাদুর, ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা আবু তালেব। তিনি গতবার কক্সবাজার সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়াই করেন। এছাড়া রয়েছেন এম, মমতাজুল ইসলাম। তিনি কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন এ নেতা।
এবারের শক্তিমান প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ।
অন্য প্রার্থী সেলিম আকবর। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের গত নির্বাচনে আনারস’ প্রতীক নিয়ে বৃহত্তর ঈদগাঁওর হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
এবার সৌদি প্রত্যাগত সামসুল আলমও অন্যতম আলোচিত প্রার্থী। তিনি সৌদি আরবের মক্কা আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আরেক প্রার্থী কবির খাঁন। তিনি ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক।
এসব প্রার্থীদের পক্ষে শুভাকাংখীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচার- প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোন কোন প্রার্থী তাদের হারানো পিতা- মাতার কবর জেয়ারতের মধ্য দিয়ে উপজেলা নিবার্চনের প্রচারণা শুরু করেছেন।
ঈদগাঁও উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, নবগঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮৭ হাজার ৭৩৭ জন। এরমধ্যে ৪৭ হাজার ৪৯৪ জন পুরুষ ৪০ হাজার ২৪৩ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। এ উপজেলায় তৃতীয় লিঙ্গ বা অন্যান্য শ্রেণীর কোন ভোটার নেই। তিনি আগামী ১১ মে এ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান।