নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন আজ দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। এ উপলক্ষ্যে নগরীর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরের ছয়দানার নিজ বাড়ি থেকে রওনা হন। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী মোটর শোভাযাত্রা দিয়ে নবনির্বাচিত সিটি মেয়র জায়েদা খাতুনকে অভিনন্দন জানান। এছাড়া সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জায়েদা খাতুনকে অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে। এসময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার গাড়িতেই ছিলেন।
অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বঙ্গতাজ অডিটরিয়াম এলাকায় ভিড় জমান। বেলা ১২টার কিছু সময় আগে হাজার মানুষের ভিড় ঠেলে নগর মাতা জায়েদা খাতুন নগরীর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে পৌঁছান।
এদিকে নগর মাতাকে বরণ করে নিতে শুভেচ্ছা সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে নগর ভবনে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত জায়েদা খাতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশনায় তার বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক এবং সিটি করপোরেশনের লোকজন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ড থেকে জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
নতুন মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছেলের পর মা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বের কোথাও এমন তথ্য এখনও আমরা পাইনি। গাজীপুরেই জনগণের ভোটে সে রেকর্ড হয়েছে। জনগণ ভোট দিয়ে জায়েদা খাতুনকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে অন্যায়ের জবাব দিয়েছে। নগরবাসী উন্নয়নের প্রত্যাশায় যেহেতু ভোট দিয়েছেন সেহেতু জায়েদা খাতুন ও আমি মিলে উন্নয়ণের নতুন মাত্রা আগামীতে উপহার দেব। সে লক্ষ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। যেহেতু নগরবাসী ভোট দিয়ে জায়েদা খাতুনকে বিজয়ী করেছে সেহেতু তাদেরকেই অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল হলে তার মা নির্বাচনে অংশ নেন। প্রচার প্রচারণায় বাধার পরও জনগণের ভোটে তিনি জয়ী হন। গত ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী জায়েদা খাতুনকে শপথ করান।