শেখ আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম :
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। তারা একতরফা ডামি নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কবজা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। একপাক্ষিক নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। তারা নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তাই গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। ইনশাল্লাহ্ এই সংগ্রামে জণগণ জয়ী হবে।
তিনি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে শাহ আমানত ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ভারত বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সি. যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় বসেই আওয়ামীলীগ বেপরোয়া আচরণ শুরু করেছে। সরকারি দলের সিন্ডিকেটকে অবৈধ সুবিধা দেয়ার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দখলদার সরকারের নীতিই হচ্ছে গরিব মানুষের পকেট কাটা। ডামি সরকার জনগণের বাঁচা মরাকে পাত্তা দেয় না। গরীব মানুষের রক্ত চুষে নিতেই এরা তৎপর।
আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলন চলছে, চলবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করে এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হবে। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।
এনামুল হক এনাম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ১৪ সালে একতরফা নির্বাচন, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে আর ২৪ সালে প্রহসনের ডামি নির্বাচন করেছে। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ এই ভোট বর্জন করেছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মানে না।
এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, খোরশেদ আলম, মফজল আহমেদ চৌধুরী, নুরুল কবীর, হাজী মো. রফিক, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, মো. লোকমান মাষ্টার, রেজাউল হক চৌধুরী, আবু কালাম আবু চেয়ারম্যান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি সি. যুগ্ম আহ্বায়ক ইফতেখার উদ্দিন, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম রাহী, আবুল হোসেন, এড. শওকত ওসমান, মাহমুদুর রহমান, আফিল উদ্দীন, মো. মারুফ, যুবদল নেতা হামিদুর রহমান পিয়ারু, আবু আহমদ, মো. সোলেমান, মো. এরশাদ, স্বেছাসেবক দল নেতা ওসমান শান্ত, ছাত্রদল নেতা মো. মহিউদ্দিন, দিলদার হোসেন, মনির উদ্দিন নয়ন, মো. আরমান, হাবিবুর রহমান প্রমূখ।