সিএনএন বাংলা২৪,লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে গরুর মাংসের কথা বলে ‘ঘোড়ার মাংস’ বিক্রির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় হোটেলের মালিক মো. সবুজ, হোটেলের পরিচালনাকারী মো. রিয়াজ ও মাংস সরবরাহকারী (কসাই) মো. চৌধুরী ওরফে শাহ আলমকে আসামি করা হয়।
পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইয়াসিন আরাফাত বলেন, খাবারের হোটেলে গরুর মাংসের কথা বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগে আবদুল কাদের নামের এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তারেক আজিজ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। একইসঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য সদর মডেল থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী আবদুল কাদের (৪০) সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সফি মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাদী আবদুল কাদের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন কাজে নিজ বাড়ি থেকে লক্ষ্মীপুরে আসা যাওয়া করেন। এতে অধিকাংশ সময় তাকে হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে হয়। গত ১৭ মে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকার ঝুমুর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যান। তখন হোটেল কর্মচারীরা উন্নতমানের গরুর মাংস রয়েছে বলে তাকে জানান। সরল বিশ্বাসে বাদী (আবদুল কাদের) গরুর মাংস অর্ডার করেন। কিন্তু খাওয়ার সময় তার সন্দেহ হয়। তিনি হোটেলের মালিক মো. সবুজ ও কর্মচারী রিয়াজের কাছে মাংসের বিষয়ে জানতে চান। তারা জানায়, ‘হোটেলে গরুর মাংসই বিক্রি হয়। সকালে কিনে এনে তাজা গরুর মাংস রান্না করা হয়’।
এর দুই দিন পর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঝুমুর হোটেলে ‘ঘোড়ার মাংস’ বিক্রি করা হয় বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি আবদুল কাদেরের নজরে পড়ে। তিনি জানতে পারেন, কসাই মো. চৌধুরী ওরফে শাহ আলমের কাছ থেকে ঘোড়ার মাংস এনে ঝুমুর হোটেলে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ হোটেল মালিক সবুজ ও কসাই মো. চৌধুরী ওরফে শাহ আলমকে আটক করে। তদন্তে ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হওয়ায় আবদুল কাদের বাদী হয়ে ১৪ জুন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নির্দেশনা এখনও আমাদের হাতে আসেনি। নির্দেশনার চিঠি পেলেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে যথাসময়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪