শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী
৩৬ মাসে পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করে মা-বাবা ও শিক্ষকের মুখ উজ্জ্বল করেছে শিশু হাফেজ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (১০)। ত্রিশ পারা কুরআন শুদ্ধভাবে দ্রুততার সাথে পড়ার কারণে শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন সে। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও সংবর্ধিত হয়েছে এই শিশুটি।
শিশু হাফেজ দেলোয়ার হোসেন (সাঈদী) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন কাথারিয়ার সৌদিয়ার মদিনা প্রবাসী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সন্তান। শিশু সাঈদী উপজেলার বৈলছড়ি মারকাজুস সুন্নাহ হেফজ মাদরাসার শিক্ষার্থী।
হাফেজ সাঈদী’র বাবা মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন বলেন, পবিত্র কুরআন আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ। আমাদের সাঈদী ছোট বয়সে কুরআন শরীফ মুখস্থ করেছে, সেটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তির জন্য কুরআন শরীফের বিধি-বিধান মেনে চলা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। কুরআন শরীফ মুখস্থের পাশাপাশি কুরআনের প্রতিটি আয়াত যাতে বাংলায় বুঝতে পারে সেজন্য তাকে মাদরাসায় পড়াবো।
তিনি আরও বলেন, আমার সাঈদীর জন্ম ২০১৩ সালে। তার জন্মের পূর্বেই বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছের আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী গ্রেপ্তার হন। তখন থেকে আমি মনে মনে ভেবেছিলাম আল্লাহ যদি আমাকে একটা ছেলে সন্তান দান করে তাকে আমি আল্লামার মতো একজন আলেম হিসেবে গড়ে তুলবো। তার জন্মের পর তাই তার নামও সাঈদীর নামের সাথে হুবহু মিল রেখে রাখছি। আশা করছি ভালো একটা আন্তর্জাতিক মানের মাদরাসায় পড়াবো। ভালো একজন দ্বীনের দায়ি হবে আমার সন্তান। সাঈদীও মাদরাসায় লেখাপড়া করতে আগ্রহী।
বৈলছড়ি মারকাজুস সুন্নাহ হেফজ মাদরাসার পরিচালক হাফেজ এমদাদ উল্যাহ বলেন, ‘সাঈদী অল্প বয়সে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম (মুখস্থ) করেছে, এটা খুব আনন্দের বিষয়। সে শিক্ষকসহ পরিবারের সবার সহযোগিতা পেয়েছে। সাঈদী ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে সেটাই প্রত্যাশা করি। আমরা তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।’