মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ:
বাংলাদেশের মধ্যে ডিবি হচ্ছে পুলিশের একটি ইউনিট-দেশের ৬৪ টি জেলায় এর শাখা রয়েছে। ডিবি পুলিশে সরাসরি কোন নিয়োগ পদ্ধতি নেই। পুলিশ থেকে যাচাই বাছাইয়ের পরই ডিবি পুলিশে নিয়োগ করা হয়। বিভিন্ন হাই প্রোফাইল কেইস, গুম, খুন, মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ ডিবি পুলিশ।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা শাখা পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও বিশেষ অভিযানে কাজ করে তারা।
এদিকে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. ফারুক হোসেন প্রতিবেদক রিয়াদকে জানান, ডিবি পুলিশের কাজ হচ্ছে তদন্ত করা। বিভিন্ন সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধচক্র, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জাতীয় অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ডিল করা।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা পুলিশের আলাদা ডিটেকেটিভ ব্রাঞ্চ বা ডিবি পুলিশ থাকে। এই ডিবি পুলিশ গুলো গোপন মিশন পরিচালনা করে থাকে বা এদেরকে আমরা অনেকে গোয়েন্দা বলে অবহিত করে থাকে।
জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি ওসি ফারুক হোসেন যোগদানের পরদিন থেকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় নগরী ও শহর এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও মাদকের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি’র ওসি ফারুক হোসেন এর নেতৃত্বে নিয়মিত রাতের বেলা টহল শুরু হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীকে দ্রুততম অপরাধের তথ্য দিয়ে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে সহযোগীতার চেয়েছেন ডিবির ওসি।
ফারুক হোসেন জানান, প্রতি রাতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারী, ইভটিজিংদের কারণে নগরবাসীর শান্তি বিগ্ন না হয় তার জন্যই নিয়মিত অভিযান চলবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে তিনি ময়মনসিংহ জেলা বাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন।
সাধারণ মানুষের মন জয় করা এক পুলিশ অফিসার – ফারুক হোসেন। তার ছুটে চলা সর্বত্র, কখনও তিনি লাঠি হাতে মহাসড়কে, কখনও মানুষের দুঃখ-কষ্ট, সমস্যা নিরসনে দুর্গম পথে, আবার কখনও সমস্যা সমাধানে গ্রামের মেঠোপথে ছোটাছুটি, এসবের একটাই লক্ষ্য পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া।
বলছি মানবিক এক পুলিশ অফিসারের কথা, তার নাম মো: ফারুক হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ, একজন ওসি, ময়মনসিংহের চাকুরিতে যোগদানের পর থেকেই দুরন্ত এই পুলিশ অফিসার দায়িত্ব পালনের ভৌগোলিক সীমা সামান্য হলেও তার কাছে সহায়তা চাওয়ার ক্ষেত্রে যেন নেই কোনো সীমারেখা, আইনগত সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা কিংবা পরামর্শ চেয়ে তার কাছে কল আসে।
ময়মনসিংহ সদর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সাধারন মানুষের, মানবিক ও ব্যতিক্রমী সব উদ্যোগ নিয়ে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তার মানবিক আচরণের কারণে সে যেখানেই চাকরিতে যোগ দেন সেখানেই দল মত নির্বিশেষে জনসাধারণের ঢল নেমে আসে ।
ওসি- ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি মানুষের আস্থার ঠিকানা হতে চাই, তারা স্বপ্নে যে পুলিশ প্রত্যাশা করে, আমি সেই পুলিশ হয়ে বাঁচতে চাই, শুধু পদাধিকার বলে নয়, হতে চাই জনগণের প্রত্যাশার ওসি, মানুষের মনে দীর্ঘদিন ধরে যত নেতিবাচক ধারণা সব মুছে দিতে চাই।
মানুষের মাঝে থাকা পুলিশভীতি দূর করতে ওসি নিজেই ছুটে চলে বিভিন্ন এলাকায়, সেখান থেকে মাদক, ইভটিজিং সহ অন্যান্য অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কে ধারণা নেন তিনি, সমাধানযোগ্য বিষয়গুলো তাৎক্ষণিক সমাধান করেন, বাকি সমস্যাগুলো নোটবুকে টুকে রেখে তারপর সমাধান করার চেষ্টা করেন, এই উদ্যোগ পুলিশ- জনতা আস্থার সম্পর্ক তৈরির পাশাপাশি অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে, ওসি ফারুক হোসেনের এই উদ্যোগের ফলে অপরাধ জগত থেকে স্বাভাবিক জীবনে আসতে শুরু করেছে অনেকেই।
বর্তমানে ওসি ফারুক হোসেন ব্যস্ত মাদকশূন্য ও সামাজিক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা মুক্ত এলাকা গড়তে, দেশের প্রথম মাদকশূন্য থানা গড়তে চান তিনি, এ লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক অভিযানও শুরু করেছেন।
একজন ওসি সাধারন মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া চোখে পড়ার মত, সাধারন মানুষ সহজেই তার কাছে গিয়ে কথা বলতে পারে বিধায় জনগন খুবই খুশি, নিরহংকারী একজন মানুষ, সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তার সে কথা বলে আইনি সেবা পাওয়ার সাধারণ জনগণ এই ওসির সর্বোপরি মঙ্গল কামনা করেন।