ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৌলভীবাজারে সরকারি গোপাট দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগে ইউএনও এর অভিযান

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত সরকারি খাল বা গোপাট দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

 

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের আজমেরু এলাকায় রাস্তার পাশের সরকারি খাল বা গোপাট দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন ফখরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

খালটির অবস্থান মোকামবাজার-অফিসবাজার সড়ক থেকে দক্ষিণ দিক হয়ে আজমেরু এলাকা হয়ে কোদালী ছড়া পর্যন্ত। এটি প্রায় ৪০ বছর আগে গোপাট হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে ওই গোপাটের পশ্চিম পাশে খাল খনন করে পূর্ব পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। উক্ত খালের বেশ কিছু অংশ দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন ফখরুল ইসলাম সহ আরও এক ব্যক্তি।

এ বিষয়ে স্থানীয় উপকারভোগী কয়েকজন কৃষক খাল দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় আপত্তি করেন। ফখরুল ইসলাম গংরা কৃষকদের আপত্তি তোয়াক্ষা না করে জোরপূর্বক দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

পরে এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবসীর পক্ষে কৃষক রাজু মিয়া ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ইং দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ওইদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে একটি টিম সরেজমিন প্রদর্শন করে অবৈধভাবে খাল বা গোপাট দখলের সত্যতা পান। পরে তারা খাল বা গোপাটের ভুমি বাদ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেন।

উল্লেখ আবশ্যক, উক্ত খালের উত্তর পাশে রাজু মিয়ার বাড়ির সীমানা ও দক্ষিণ পাশে শাহীন মিয়ার কৃষি জমির সীমানা বিদ্যমান রয়েছে। তারা সহ অন্যান্য কৃষিজমির মালিকগণ খালের বাহিরে তাদের সীমানার অবস্থান। দীর্ঘদিন ধরে ওই খাল থেকে পানি সেচ দিয়ে কৃষিকাজ করে আসছেন এলাকাবাসী। তবে খালটি ভরাট হওয়ায় সেচ্ছাশ্রমে খননের জন্য সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে একটি আবেদন করা হয়েছে। খালটি খনন হলে কৃষিকাজ সহ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী জানান, আজমেরু মৌজার গোপাট রকম সরকারি খাস ভূমিতে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে তদন্তক্রমে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী আরও জানান, মোকামবাজার-অফিসবাজার সড়কের প্রতিবন্ধী পূর্ণবাসন কেন্দ্রের উত্তর পাশে সরকারি গাইড ওয়াল ও সড়ক দখল করে রিপন গাজী নামের জনৈক ব্যক্তি সুকৌশলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। রিপন গাজী প্রথমে কৃষিজমিতে মাটি ভরাট করার সময় গাইড ওয়ালটির উপর মাটি ফেলে তার দখলে নেন। এর উপর বাঁশ ও কঞ্চি দিয়ে কিছু সবজী গাছ ও কচু লাগিয়ে তা আড়াল করেন। তারপর বাঁশের বেড়া দেন। সর্বশেষ তিনি কাট ও টিন দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে পুরো সরকারি গাইড ওয়াল ও রাস্তার ভুমি অবৈধভাবে নিজ দখলে নেন।

এ বিষয়ে গিয়াসনগর ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে মৌখিক ভাবে এলাকাবাসী জানালে এর কোন প্রদক্ষেপ এ পর্যন্ত নেয়া হয়নি।