ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রেমে একের পর এক ব্যর্থতা, আক্ষেপ করে যা বললেন সালমান খান

বিনোদন ডেস্ক :

বলিউডে ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খান। নিজের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। এরই মাধ্যমে অর্জন করেছেন কোটি ভক্তের ভালোবাসা। তবে সাফল্যের পাশাপাশি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতেও জায়গা করে নিয়েছেন অসংখ্যবার।

বিশেষ করে তার ব্যক্তিগত ও প্রেমজীবন নিয়ে একাধিকবার শিরোনাম হয়েছেন এই সালমান। সংগীতা বিজলানি থেকে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন কিংবা হালের ক্যাটরিনাদের মতো বলিউড ডিভারা ছিল তার প্রেমিকার তালিকায়। তবে কোনো প্রেমই পরিপূর্ণ হয়নি সালমানের জীবনে। একে একে ছেড়ে গেছেন সবাই।

আর সেই দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন ভাইজান। সালমান খানের মতে, বিচ্ছেদের কারণ তিনি নিজেই। দোষ তারই। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি শো ‘আপ কি আদালত’-এ এসে এমনটাই জানিয়েছিলেন খান সাহেব।

গত বছর ‘আপ কি আদালত’-এ হাজির হয়েছিলেন সালমান খান। সেখানে বিভিন্ন কথোপকথনে নিজের প্রেমজীবন নিয়েও কথা বলতে দেখা যায় তাকে। সেই ভিডিওটি নতুন করে ফের ঘুরছে ইন্টারনেটে। যেখানে সালমানকে বলতে শোনা গেছে, প্রেমের ব্যর্থতায় দোষ তারই ছিল। অশ্রুসিক্ত চোখে কথাগুলো বলেন সালমান।

সঞ্চালক রজত শর্মার প্রশ্নের জবাবে সালমান জানান, ‘যখন প্রথম সম্পর্ক ভাঙে তখন দোষ অপর ব্যক্তিকে দেওয়া যায়। দ্বিতীয় সম্পর্ক ভাঙলে তখনো তাকেই দোষ দেওয়া যায়। তৃতীয় সম্পর্ক ভাঙলে মনে মনে একটু হলেও সন্দেহ জাগে। আর চতুর্থ বা পঞ্চম সম্পর্ক ভাঙলে কোথাও গিয়ে নিজের দোষগুলো খুঁজে দেখতে হয়। তবে যখন ষষ্ঠ সম্পর্ক ভাঙে তখন একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়, নাহ দোষ তো আমারই ছিল!’ এ কথা বলার সময় সালমান খানের চোখের কোনে পানি জমতে দেখা যায়।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে একের পর এক বিভিন্ন নায়িকারর সঙ্গে সম্পর্কে থেকেও আজও ব্যাচেলর সালমান খান। সেই তকমা ঘোচাতেও চেয়েছিলেন বহুবার। তবে কোনো সম্পর্কই বেশি দিন স্থির হয়নি। আর জীবনের এই পর্যায়ে এসে এখন নিজেকেই দোষ দিয়ে থাকেন ভাইজান। তবে ভক্তদের প্রত্যাশা একটিই— জীবনটা নতুন করে শুরু করুক এই মেগাস্টার। তার পাশে কাউকে দেখার তীব্র ইচ্ছায় এখনো ব্যাকুল তার কোটি অনুরাগী।

সালমান খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘টাইগার ৩’ চলচ্চিত্রে। টাইগার ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় চলচ্চিত্র এটি। এতে আরও অভিনয় করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও ইমরান হাশমি। ২০২৩ সালের দীপাবলিতে মুক্তি পায় সিনেমাটি। বক্স অফিসেও পেয়েছে সফলতা।