ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জমে উঠেছে মাছের মেলা

সালেহ আহমদ স’লিপক:
প্রায় দুইশত বছর পূর্বে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর তীর জুঁড়ে শুরু হয়েছিল মাছের মেলা। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও মেলায় উঠেছে নানা জাতের বাহারি মাছ। বিভিন্ন আড়ৎদাররা নিয়ে এসেছেন বড় বড় মাছ। পৌষ সংক্রান্তিকে ঘিরে শুরু হওয়া শেরপুর মাছের মেলা পুরোপুরি জমে উঠেছে শনিবার বিকেল থেকেই।

শেরপুরের মাছের মেলাটি এখন সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়ে আগে পিছে তিনদিনে বর্ধিত হয়েছে। মেলাস্থল শেরপুরের অবস্থান মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার একেবারে শেষপ্রান্তে। পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা, উত্তরে কুশিয়ারা নদী। নদী পাড় হলেই সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলা শুরু। হবিগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজার এই তিনটি জেলার মোহনা হচ্ছে শেরপুর। মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে বড় মাছের মেলা এটি।

আগে এই মাছের মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন হাওর-বাওর, নদ-নদীর মাছ নিয়ে আসতো জেলেরা। এখন মৎস্য খামারগুলোর মাছতো আসেই। সাথে আসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিরাট বিরাট চালান।

সিলেটের কুশিয়ারা নদী, সুরমা নদী, মৌলভীবাজারের মনু নদী, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, কাওয়াদিঘি হাওর, হাইল হাওরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বাঘাই, রুই, কাতলা, বোয়াল, গজার, আইড়সহ বিশাল বিশাল মাছ নিয়ে আসেন। মাছের মেলায় পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের কমে চাহিদা মতো মাছ কেনা যায় না। কারণ মাছের মেলা বলে কথা। বড় ব্যবসায়ীরা সপ্তাহখানেক পূর্বে বড় বড় মাছ সংগ্রহ করতে থাকেন। সেই অনুযায়ী মাছের দামও হাঁকা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আড়ৎ থেকে ছোট বড় অনেক জাতের মাছ নিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। মাছের গন্ধে মৌ মৌ করে ওঠে পুরো এলাকা। মেলায় ছোট আকারের মাছের দাম হাকানো হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের মাছের দাম হাঁকানো হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং বড় সাইজের মাছের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও হাঁকানো হয়।