ই-পেপার | সোমবার , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বৃষ্টিস্নাত দিনে মহানবী (সা.)-এর তিন আমল

ইসলামী জীবন ডেস্ক :

হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সিক্ত রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চল। হালকা বৃষ্টিতে চারদিকে তৈরি হয়েছে শীতল পরিবেশ। মুমিনের কাছে বৃষ্টির রয়েছে নতুন বার্তা। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বৃষ্টির উপকারিতার কথা এসেছে।

কারণ বৃষ্টিমুখর দিনেও রাসুল (সা.)-এর অনেক সুন্নত রয়েছে। নিম্নে কয়েকটি আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা : অনেকে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে পছন্দ করে। হাদিসেও হালকাভাবে ভেজার কথা এসেছে। তবে শরীরে যেন ঠাণ্ড-সর্দি বা রোগ-ব্যাধি তৈরি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। এমন সময় বৃষ্টি বর্ষণ শুরু হয়। তখন রাসুল (সা.) কাপড়ের সামান্য অংশ তুলে নেন। ফলে (তার শরীরের কিছু অংশ) বৃষ্টিতে ভিজে যায়।

আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি এমন করলেন কেন? তিনি বললেন, ‘কারণ তা একটু আগেই মহান আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৮)
২. কল্যাণের প্রার্থনা : রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় কল্যাণের দোয়া করতেন। তিনি বৃষ্টিবাহী সব ধরনের আজাব ও অকল্যাণ থেকে মুক্তি চেয়ে উম্মাহর জন্য দোয়া করতেন। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বৃষ্টি দেখলে এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়া’- অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী বৃষ্টি প্রার্থনা করছি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০৩২)

৩. দোয়া কবুল হয় : বৃষ্টি বর্ষণের মুহূর্তটি মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের সময়।

এ সময় মানুষের দোয়া কবুল হয়। সাহাল বিন সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না কিংবা খুবই কম ফেরানো হয়। আজানের সময় এবং যখন শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ চলে। আরেক বর্ণনা মতে, বৃষ্টি বর্ষণের সময়। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৪০)