সিএনএন বাংলা২৪, ভোলা:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন মো. মিরাজ (২৩) নামের এক যুবক। দাদি শামসুন্নাহার মিরাজের দাদার আপন স্ত্রী। ২১ মে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। এরপর একই দিন নাতি তার দাদিকে কাজির মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।
বুধবার (৩১ মে) উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে বিষয়টি জানাজানি হলে এই দম্পতিকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরাজের দাদা শাহে আলম ব্যাপারী তিনটি বিয়ে করেন। সামসুন্নাহার বেগম (৪২) মিরাজের দাদার তৃতীয় স্ত্রী। মিরাজ দাদার প্রথম স্ত্রীর ঘরের নাতি। প্রায় দেড় বছর আগে মিরাজের দাদা শাহে আলম মারা যান। এরপর থেকে তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহার একা হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন নাতি মিরাজ।
এদিকে, দাদি সামসুন্নহারের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করলে স্থানীয়রা তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে থাকে। এই কারণে নাতি মিরাজ ও দাদি সামসুন্নাহার গত ২১ মে ভোলা জেলা সদরে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। পরে কাজির মাধ্যমে তারা বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।
এ বিষয়ে মিরাজ বলেন- ‘বিয়ে করা পাপ নয়। দাদিকে বিয়ে করে কোনো পাপ করিনি। আমি নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছি। আমাদের সংসার সুখেই চলছে’।
দাদি সামসুন্নাহার বেগম বলেন- ‘মিরাজ ও আমি দুজনেই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোলায় গিয়ে বিয়ে করেছি। তবে মিরাজের বাবা-মা আমাদের বিয়ে নিয়ে একটু অসন্তুষ্ট। কিন্তু ঝামেলা নেই। বিয়ের পর মিরাজ আমার বাড়িতেই আছে। আমাদের সংসার ভালোই চলছে’।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী জানান, দাদি ও নাতির বিয়ের খবর শুনেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, জোর করে কেউ কাউকে বিয়ে করেনি।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪