ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপির অনশন কর্মসূচি পালিত

শেখ আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম :

 

বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে সরকার গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে সরকার মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিকভাবে অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে তার অসুস্থতা তীব্র হয় এবং তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। আইনি লড়াই করতে বিদেশ থেকে আইনজীবী আসতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে তার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রী। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না, এটা অমানবিক। এটা মানবতা বিরোধী অপরাধ।

 

তিনি শনিবার (১৪ অক্টোবর) কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কের টাইলস মার্কেটের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে প্রেরণের দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচীতে এসব কথা বলেন।

 

দুপুর ২ টায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার নেতৃবৃন্দকে জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অনশন কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড, এনামুল হক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম।

 

এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তাঁর বহু অবদান রয়েছে। উপ মহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন নোংরা রাজনীতি করছে। তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির বিরোধিতা করছে সরকার।আমরা সরকারকে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হোক। কারণ, তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী। তাঁর যদি কিছু হয়ে যায়, এর সব দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। আমরা আশা করব, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

 

এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, ভোটের নামে নির্বিঘ্নে প্রহসন চালিয়ে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই গৃহবন্দী করে রেখেছে। শুধু সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর নির্মম, নিষ্ঠুর জুলুম নেমে এসেছে।

 

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। এখন তাঁকে তাঁর জীবন থেকেও সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে।

 

আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকারের অন্যায় চাপে কখনো আপস করেননি। তার জনপ্রিয়তাকে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভয় পায়। এ জন্যই তার ওপর এত জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছে। তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক।

 

এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, হাজী মো.আলী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, দক্ষিণ জেলার সদস্য এম মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী, লায়ন নাজমুল মোস্তফা আমিন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এড. নুরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল হোসেন, মফজল আহমদ চৌং, হাজী মো. রফিক, এহসান মাওলা, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম, সেলিম উদ্দিন খোকন, জসীম উদ্দীন, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দীন মানিক, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, আবদুস সাত্তার সেলিম, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আবদুল হান্নান জিলানী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতি, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ ফোরকান, সদস্য সচিব হাফেজ মো. জাবের হোসাইন প্রমূখ।

 

 

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪