ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রামুর খুলিয়াপালংয়ে প্রবাসীর বসতবাড়ি দখলে নিতে হামলা, দুই নারী আহত

শওকত আলম, কক্সবাজার:

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিণ খুনিয়াপালং এলাকায় এক প্রবাসীর বসতভিটা জবরদখলে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। তারা বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলা চালিয়ে দুই নারীকে কুপিয়ে আহত করেছে।

 

রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলির দোকানের পশ্চিমে প্রবাসী নুরুল আলমের বাড়িতে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে।আহতরা হলেন- নুরুল আলমের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী আলতাজ বেগম।

 

ভুক্তভোগী নুরুল আলম জানান, মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল এগারোটার দিকে ওই এলাকার আলি আহমদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর, মোঃ কালুর ছেলে নুরুল আলম, নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ জুবাইর, রশিদ আহমেদের ছেলে আজিজুর রহমানসহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠি ও শাবল নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা নির্মাণাধীন বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। সন্ত্রাসীরা নুরুল আলমের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও ভাবী আলতাজ বেগমকে লোহার রড দিয়ে আঘাত ও দা দিয়ে কোপায়।

 

পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসীর দল অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। সেই সময় প্রবাসী নুরুল আলমের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও তার কোলে থাকা শিশুকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয় হামলাকারীরা। সন্ত্রাসীরা বাড়িতে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকাসহ মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে দাবি প্রবাসী নুরুল আলমের। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পুলিশের সহযোগিতায় তারা তালা খুলে বাড়িতে প্রবেশে সমর্থ হয়।

 

নুরুল আলমের দাবি, দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে তাদের ভোগদখলে থাকা জায়গাটি দখলে নিতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম।

এদিকে অভিযুক্তদের পক্ষের জুবায়ের জানান, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে জায়গাটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি ও আদালতে মামলা রয়েছে। বিচারে তাদের পক্ষে রায়ও হয়েছে, কিন্তু নুরুল আলম মানছেন না।

 

জুবায়ের বলেন, ‘আমাদের দাদার চার ছেলে। ওয়ারিশ সূত্রে তারা সকলেই দাদার জমির মালিক। কিন্তু আমাদের চাচা কাদের হোসাইন ও তার ছেলেরা সব জায়গা দখল করে রেখেছে। এর ফলে দখল-বেদখল ও হামলার ঘটনা ঘটছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪