ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ, শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি

মুহাম্মদ শাহিন, রূপগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা, কাঞ্চন, মুড়াপাড়া, হাটাবো, জাঙ্গীর, ইছাপুরা, মাসাবো, নোয়াপাড়া, ইছাখালিসহ আশপাশের এলাকায় ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, যুবক-যুবতীসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রূপগঞ্জের সকল বেসরকারি হাসপাতালে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক। সরকারি হাসপাতালেও এ রোগীর সংখ্যা কম নয়। ফলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভাইরাস জ্বরের আক্রান্ত রোগীর চাপ অনেক বেড়েছে। ভাইরাস জ্বরকে ডেঙ্গু জ্বর মনে করে অনেকে আতঙ্কে রয়েছে। রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সুষ্ঠু ও সময় উপযোগী চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি পাওয়ায় রূপগঞ্জ উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ দিনদিন বেড়েই চলছে।

 

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বরপা এলাকার বাসিন্দা ও শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ঈশিকা জানায়, সে গত এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, কাশি ও ভাইরাস জ্বরে ভুগছে। দাউদপুর ইউনিয়নের দেবই এলাকার ইব্রাহীর মিয়া জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে তিনি জ্বর ,গলাব্যাথা ও কাশিতে ভুগছেন রূপগঞ্জের একটি

বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল্লাহ বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে দৈনিক গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে।

 

ভুলতা মেমোরী হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফারুকুল ইসলাম বলেন, জ্বরে আক্রান্ততদের সর্দি, হাঁচি ও কাশি থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। অসতর্কতায় অন্যদের শরীরে প্রবেশ করছে। ফলে পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে ওই পরিবারের
অন্যরাও এ রোগে আক্রান্ত হয়।

 

রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার ইউএসবাংলা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ভাইরাস জ্বর এক ধরনের ছোঁয়াছে রোগ। জ্বরে আক্রান্ত হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে।

শরীর পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। রোগীকে তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ্য হয়ে উঠবে। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আইভি ফেরদৌস বলেন, ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তদের নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বর ও ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তদের সেবা দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

একটু সচেতন হলেই এ জ্বর থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা যায়।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪