ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে পুলিশের ওপর হামলা, ওসিসহ পুলিশের ২০ সদস্য আহত

পেকুয়া উপজেলা প্রতিনিধি:

যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পেকুয়া থানার ওসিসহ ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

 

জানা গেছে, ১৫ আগষ্ট ( মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টার দিকে বারবাকিয়া বাজারে সাঈদীর গায়েবানা জানাযা শেষে পেকুয়া থানার পুলিশের ওপর উস্কানিমুলক শ্লোগান দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে একদল মুসল্লি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বারবাকিয়া বাজারে মাওলানা দেলাওয়ার হোছাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসময় পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার ও তদন্ত ওসি সুদীপ্ত শেখরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অবস্থান নেন। জানাজা শেষে পেকুয়া থানার পুলিশ জানাজায় অংশ নেওয়া মুসল্লীদেরকে শান্তভাবে নিজ নিজ ঘরে চলে যাওয়ার জন্য বললে হঠাৎ উস্কানিমুলক শ্লোগান দিয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অতর্কিত হামলা চালায় একদল মুসল্লি।

 

এঘটনায় হামলায় আহতরা হলেন, পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য, উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম, অমর চন্দ্র বিশ্বাস, মফিজুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান, হেশাম উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জসিম উদ্দিন, কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রদীপ কুমার দে, মো. সবুর মিয়া, রবি উল্লাহ, ইমরান হোসেন, রামকৃষ্ণ দাশ, তৌহিদুল ইসলাম, রিপন মিয়া, রিয়াজুল ইসলামসহ অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আহত পুলিশ সদস্যদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার জানিয়েছেন, পেকুয়ার বারবাকিয়া বাজারে সাঈদীর গায়েবানা জানাযা শেষে একদল লোক পুলিশের ওপর বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় তিনিসহ থানার ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন ওসি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪