সেলিম উদ্দীন
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে স্থানীয়রা।
এ সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের হান্তিরছড়া, বাককুমপাড়া, হাজী পাড়া ও স্কুলপাড়ার লোকজন যাতায়াত করে থাকে। সড়কটি মহাসড়কের ব্রীজ হতে রেল লাইন পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দকে যান ও জনচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন আটকে পড়ছে। ফলে মূমূর্ষ রোগী বহনকারী এম্বুলেন্স চলাচলে ও ব্যাঘাত ঘটছে।
সম্প্রতি সময়ে রেল লাইনে কর্মরত শ্রমিক ও তাদের বহনকারী বড় চাকার গাড়ি এ সড়ক দিয়ে দাফিয়ে বেড়াচ্ছে। যার কারনে সড়কটির পাশে নদী থাকায় পাশ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে, বাড়ছে প্রতিনিয়িত দূর্ঘটনা।
বিষয়টি তাদের নজরে দেয়া হলে রেল লাইন প্রকল্প প্রকৌশলী মোঃ ইমরান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের অংশ অচিরেই ভরাট করা হবে। তবে আজকাল বলে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
তাছাড়া এ সড়কের হান্তিরছড়া, শাহ সাহেবের মাজার এলাকার রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। এই অংশ ভাঙ্গা থাকার কারনে পরিবহন চলাচলের অনুপযোগী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে গর্তগুলি ভরাট করলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা আবার ভেঙ্গে যাচ্ছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলাকারী যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় সড়কটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এ সড়কের ঝুঁকি এড়াতে বিগত সময়ে ১টি ব্রীজসহ সড়ক নির্মানের জন্য ইতোপূর্বে কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সড়ক সংস্কারের বছর না যেতেই এমন বেহাল অবস্থা।
সড়ক নিয়মিত যাতায়াতকারী গাড়ী চালকগণ জানায়, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেনা গাড়ি গুলো। স্থানীয়রা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তার মেরামত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।