ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মির্জা আজম স্বাধীনতাবিরোধী আন্তর্জাতিক শক্তি বিএনপিকে মদদ দিচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় যে আন্তর্জাতিক শক্তি রাজাকার ও আল বদরদের মদদ দিয়েছিল, তারা আজ বিএনপিকে মদদ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ৪টায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আজ এই খুনির দলের ষড়যন্ত্র উপলব্ধি করতে পারছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের সময় যারা ষড়যন্ত্র করেছিল– বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু মানুষ রাজাকার, আল বদর, আল শামস। আর তাদের মদদ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক একটি অপশক্তি, যাতে বাংলাদেশ স্বাধীন না হতে পারে। সেই আন্তর্জাতিক শক্তি খুনির দল বিএনপিকে মদদ দিচ্ছে। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চরিত্র যদি আমরা বিশ্লেষণ করি দেখবেন, তারেক রহমান কিশোর বয়সে বাপের আলমারি ভেঙে টাকা চুরি করেছিল। স্কুলজীবনে নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হয়েছিল তারেক রহমান। তার কারণে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ভিন্ন জায়গা থেকে এসএসসি পাস করে। বাংলাদেশের মানুষ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যায়। কিন্তু তারেক রহমান ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ গিয়ে নকল করে এসএসসি পাস করে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমান হাওয়া ভবন থেকে বিকল্প সরকার পরিচালনা করত। এসময় সে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদেশ থেকে সেই টাকা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।

মির্জা আজম বলেন, এই তারেকের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে কানাডার আদালত তাদের একটি রায়ে দলটিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে ৫০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিল তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিদের উত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারেক রহমান। পাকিস্তান রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার জন্য সে ষড়যন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য সেখানের সন্ত্রাসীদের জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। আজ সে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে, তার সব কর্মসূচি সন্ত্রাসী কর্মসূচি।

 

বিকেল সোয়া ৩টায় কোরআন তেলাওয়াত, পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন।

 

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।

 

সমাবেশে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

 

সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট এবং দেশের বিভিন্ন জেলা শাখা থেকে তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অবস্থান নেন। তবে, বৃষ্টিতে সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা কিছুটা বেকায়দায় পড়েন। কেউ কেউ আশপাশের ভবনে আশ্রয় নেন। অনেকে ভিজেই স্পটে দাঁড়িয়ে থাকেন।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএনবাংলা২৪