ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মা হলো‘পুরুষ’ গরিলা! ভুল ভাঙার পর বিস্মিত চিড়িয়াখানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আমেরিকার একটি চিড়িয়াখানা বসবাস ‘সুলি নামে এই গরিলার। এতাদিন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিলুপ্তপ্রায় এ প্রাণীটিকে মনে করেছিল ‘পুরুষ’। সেভাবেই তার দেখভাল চলছিল। একদিন হঠাৎ দেখা যায় তার কোলে সদ্য জন্মানো এক শিশু। তা দেখেই ভুল ভাঙে চিড়িয়াখানার কর্মীদের। যাকে এতদিন পুরুষ মনে করা হচ্ছিল, সে আদতে এক নারী। এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার ওহিওর কলম্বাস চিড়িয়াখানায়।

দিন কয়েক আগে এ ঘটনার কথা জানানো হয় চিড়িয়াখানার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। ওই চিড়িয়াখানার বাসিন্দা বেশ কিছু গরিলা রয়েছে। তাদের মধ্যেই ছিল সুলি নামে এক গরিলা। বছর আটেকের এই গরিলাটিকে পুরুষ বলেই ভেবেছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি তার কোলে শিশু দেখে ভুল ভাঙে কর্মীদের।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে যে পোসট করা হয়েছে তাতে গোটা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। বলা হয়েছে, অন্তত বছর আটেক বয়স না হওয়া পর্যন্ত গরিলার লিঙ্গ নির্ধারণ করা সহজ নয়, অন্তত বাইরে থেকে বা দূর থেকে দেখে চট করে বলা যায় না। সেক্ষেত্রে আগেভাগে ঠিকমতো বুঝতে হলে শারীরিক পরীক্ষা করতে হয়, যার জন্য প্রাণীটিকে অজ্ঞান করতে হতে পারে। ফলে অনেকসময়েই চিড়িয়াখানার কর্মীরা অল্পবয়স্ক গরিলার লিঙ্গ নির্ধারণ করতে গিয়ে ভুল করেন বলে জানানো হয়েছে। বছর পাঁচেক বয়স থেকেই স্ত্রী গরিলা সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়ে যায়। কিন্তু কোনও স্ত্রী গরিলা সন্তানসম্ভবা কি না সেটা বোঝাও কঠিন। কারণ, দৈহিক গঠনের কারণেই গরিলার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষ্মণ বাহ্যিক ভাবে তেমন একটা বোঝা যায় না।

কলম্বাস চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুলি এবং তার সন্তান সুস্থ রয়েছে। এই শিশু গরিলার বাবাকে খুঁজতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

আমেরিকা এই চিড়িয়াখানা গরিলা সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। চিড়িয়াখানার তরফেই জানানো হয়েছিল, ১৯৫৬ সালে বিশ্বের প্রথম গরিলার ক্যাপটিভ ব্রিডিং এই চিড়িয়াখানাতেই হয়েছিল। তারপর থেকে গোরিলা সংরক্ষণ নিয়ে নানা কাজ করে আসছে কলম্বাস জু।

আইইউসিএন-এর তালিকা অনুযায়ী, ওয়েস্টার্ন লো-ল্যান্ড গরিলা অত্যন্ত বিপন্নপ্রায় প্রজাতি। অর্থাৎ এদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, বাসস্থান কমছে, যার ফলে বিলুপ্ত হওয়ার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে এই প্রজাতি।

এইচ এম কাদের সিএনএন বাংলা২৪