ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাড়ে ৬ লাখ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত দুই বছরে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন সাড়ে ছয় লাখ বিনিয়োগকারী। শেয়ারবাজারের অস্থিরতা এবং শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানান উদ্যোগে এই বিও হিসাবগুলো বন্ধ হয়েছে। বিএসইসির বিনিয়োগকারী বান্ধব দুই উদ্যোগের কারণেই এমন বড় সংখ্যাক বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

 

 

সিডিবিএলের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৬টি। ২০২১ সালের একই দিনে এ সংখ্যাটি ছিল ২৫ লাখ ১২ হাজার ১টি। অর্থাৎ এই সময়ে বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৫টি।

বন্ধ হওয়া বিও হিসাবের সবাই প্রকৃত বিনিয়োগকারী নন বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। এই সাড়ে ৬ লাখের বেশির ভাগই আইপিও শিকারী। আইপিও শিকারীরা শুধু আইপিও’র জন্যই অনেকগুলো বিও হিসাব ব্যবহার করতেন। কিন্তু বিএসইসি আইপিও শিকারীদের তাড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যার কারণে এখন আর আইপিও শিকারীরা আইপিও ব্যবসা করে আগের মতো মজা পায় না। যার কারণে তারা এই বিওগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

গত দুই বছরে বন্ধ হওয়া সাড়ে ছয় লাখ বিও’র মধ্যে প্রায় ছয় লাখই আইপিও শিকারীদের বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিস্টরা। বাকি ৫০ হাজারের মতো প্রকৃত বিনিয়োগকারী হবেন বলে ধারণা করছে তারা।

২০২০ সালে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিওর নিয়মে পরিবর্তন আনে। লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দের বিপরীতে প্রো-রাটা ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দের নিয়ম চালু করা হয়। অর্থাৎ আইপিওতে যতগুলো বিও হিসাবের মাধ্যমে আবেদন জমা পড়বে, তাদের সবার মাঝে সমানহারে শেয়ার বণ্টন করা হবে।

যেহেতু আইপিওতে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী আবেদন করেন, সেহেতু সমানহারে বণ্টন ব্যবস্থার ফলে অল্পসংখ্যক শেয়ার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বিএসইসি শর্ত জুড়ে দেয় যে, শেয়ারবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে যাদের ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকবে, তাঁরাই কেবল আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।

এই দুটি নিয়মের কারণে বিও হিসাব পরিচালনা অলাভজনক হয়ে দাঁড়ায়। তাই আইপিও শিকারিরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

 

নুর মোহাম্মদ, সিএনএনবাংলা২৪