নিজস্ব প্রতিবেদক :
সীমান্ত এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ জিপির ইন্টারনেট বিড়ম্বনায় ভুগছে। জানাগেছে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়ায় গত ১৫ দিনের অধিক সময় ধরে গ্রামীণ, রবি ও এয়ারটেল ফোনের 4G,3G ইন্টারনেট সেবা চালু নেই। এতে ডাটা প্যাকেজ গ্রাহকরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। হেলে-দুলে চলছে বলে জানান ওই এলাকার রবি, এয়ারটেল গ্রামীণ ফোন ইন্টারনেট গ্রাহকগণ।
স্থানীয় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর এলাকার ব্যবসায়ী আলী হাসেন জানান, ভিডিও চালু করলেই ৩০ সেকেন্ড পর পর চাক্কি ঘুরতে থাকে। এই সমস্যার কারণে প্রথমে কি দেখলাম,শেষে কি দেখলাম মেলাতে পারি না। ওই এলাকার জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, জিপি (গ্রামীনফোন) অপারেটররা কথাও বলতে পারছে না। এই অবস্থায় অপারেটর পাল্টে অন্য কোম্পানির সিম ব্যবহার করছে গ্রাহকরা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী অনলাইন কোচিং করতে পারছে না। অনলাইন নির্ভর ব্যবসা বন্ধ রয়েছে গত ১৫ দিন ধরে।
এফ এ টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী ফখরুল আজাদ বলেন, জিপির নেট বিড়ম্বনার টেকনোলজির অনলাইন সেবীদের ঠিকমতো সেবা দিতে পারছেনা তারা। গত দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে এই সমস্যা চলছে।
ফোর জি সেবা বন্ধ থাকায় ২০ হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে কৃষি ব্যাংক বিদুৎ বিল নেয়া বদ্ধ রেখেছে। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা নিলয় ঘোষ জানান, ইন্টারনেট সমস্যার কারণে জুন মাসের শেষের দিকে বিদুৎ বিলসহ ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নানান ব্যাংকিং কার্যক্রমে জটিলতায় ভুগছি। কোনো বিদুৎ বিল নিতে না পারায় পার্শ্ববতী রামু উপজেলায় বা জনতা ব্যাংকে বিদুৎ বিল দিতে পরামর্শ দিয়েছি গ্রাহকদের।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর এলাকার বাসিন্দা শিল্পু মল্লিক বলেন,সব চাইতে খারাপ নেটওর্য়াক গ্রামীনফোন কোম্পানির। গ্রামীনফোন কাস্টমার কেয়ার হেল্প লাইনের ০২২২২২৮২৯৯০ ও ০১৭৯৯৮৮২৯৯০ নাম্বার সমূহে একাধিক বার যোগাযোগ করেও ডাটা ও জিপির ইন্টারনেট সমস্যার কোন রকম সমাধান পাওয়া যায়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের সিরাজুল হক (৩৫) ও মাইমুন হক (২০) জানান, সিমে ডাটা থাকার পরও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছিনা। জিপি কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ দাবী করছি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার ব্যবসায়ী মহল বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগন তাদের নিয়মিত কার্যক্রম ইন্টারনেট সমস্যায় বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান।
নুর মোহাম্মদ,সিএনএনবাংলা২৪
