নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বৈশাখী মেলা নববর্ষের সার্বজনীন অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। নতুন বছরে মানুষের আনন্দ অনুভূতির প্রকাশ ঘটে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে। এ মেলা উপলক্ষে মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, নানা জাতের কুটির শিল্প, কারুশিল্প, খেলনাসহ হরেক রকমের পণ্যের সমাহার ঘটে এ মেলায়। এছাড়া থাকে নাগরদোলা, লাঠি খেলা, পুতুল নাচ, যাত্রা ও সার্কাসসহ বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন। নতুনকে বরণের উদ্দেশ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে বৈশাখী মেলা একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। এতে মানুষের প্রগতিশীল চেতনা জাগ্রত হয়।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী (১১-২০ এপ্রিল) ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩০’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। এছাড়া বক্তব্য দেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলার আয়োজনের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতির লালন, বিকাশ ও সংরক্ষণে বাংলা একাডেমি শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
অনুষ্ঠানে বিসিকের উদ্যোগে দেশের কারুশিল্পীদের মধ্যে তাদের কাজের দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরুপ কারুশিল্পী পুরস্কার-১৪২৯ দেওয়া হয়। যার মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পীকে ‘কারুরত্ন’ এবং নয়জন দক্ষ কারুশিল্পীকে কারুগৌরব পুরস্কার দেওয়া হয়। মেলায় মোট স্টল থাকছে ৮৮ টি যার মধ্যে চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য-১৩টি, ফ্যাশন/বুটিকস পণ্য-৪৮টি, খাদ্যজাত পণ্য-১০টি, বাঁশ, বেত ও হস্তশিল্প-৫টি, বিসিক মধু-২টি, কর্মরত কারুশিল্পী-১০টি।
এবারের বৈশাখী মেলায় একই সঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় ডিজাইন ও সুলভমূল্যের বিভিন্ন স্বদেশি পণ্য। জামদানি, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, নকশি কাঁথা ও নকশি পণ্য, হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, বাঁশ ও বেতের পণ্য, মৃৎশিল্প পণ্য, শতরঞ্জি, শীতলপাটিসহ হরেক রকমের স্বদেশী পণ্যের সমাহার। এছাড়া থাকছে মধু ও খাদ্যজাত পণ্য এবং শিশু কিশোরদের জন্য বিনোদন ব্যবস্থা। মেলা থেকে ক্রেতা সাধারণ কারুপণ্য, নকশিকাঁথা, পাটপণ্য, বুটিকস পণ্য, জুয়েলারি, লেদার, অর্গানিক ফুডস, ইলেকট্রনিকস পণ্য, মধুসহ নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারবেন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।
ডি এন এইচ .এম. সালাহ উদ্দীন কাদের