ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোন বিচারক পাবলিক কোন স্টেটমেন্ট দিতে পারবেন না- মৌলভীবাজারে নাগরিক সম্বর্ধনায় প্রধান বিচারপতি

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজারে নাগরিক সম্বর্ধনায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ভারতের প্রধান বিচারপতির উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, এখন বাংলাদেশেও প্রধান বিচারপতিরও অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। কোন বিচারক পাবলিক কোন স্টেটমেন্ট দিতে পারবে না। প্রধান বিচারপতির অফিস একটি পাবলিক অফিস। শুধু তিনি মিডিয়ার সামনে কথা বলতে পারেন। অন্য কোন বিচারক বা বিচারপতি তা পারেন না।

শুক্রবার (৩ মে) রাতে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মৌলভীবাজার পৌরসভা আয়োজিত নাগরিক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগকে ডিজিটাল করা হচ্ছে। সেটি ধাপে ধাপে নিম্ন আদালত পর্যন্ত পৌঁছাবে। এসময় তিনি মৌলভীবাজারের মানুষের প্রশংসা করে বলেন, আজকে যে সম্মান আমাকে দেখিয়েছেন তা কখনো ভুলার মত নয়। তিনি পৌরসভার মেয়র এবং কর্মকর্তা সহ সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সহধর্মিনি হাফিসা বানু, জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, জেলা চেম্বারের সভাপতি ও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতার নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ প্রমুখ।

জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মুজিব, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত। মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মোঃ নাহিদ হোসেন।

সভায় প্রধান বিচারপতিকে সোনার তৈরী দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির চায়ের ক্রেস্ট ও সোনার চাবি উপহার দেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেলকেও সোনা দিয়ে বানানো দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির ক্রেস্ট দেয়া হয়।

সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিনিয়র সিটিজেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সর্বস্থরের মানুষ।

সভা শেষে মৌলভীবাজারের স্থানীয় সংস্কৃতির ধামাইল, মুনিপূরী নৃত্য, মৃদঙ্গ নৃত্য ও হাসান রাজা এবং রাধা রমনের গান পরিবেশন করা হয় এবং নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এর আগে প্রধান বিচারপতি মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জ এর শুভ উদ্বোধন করেন।