নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম:
আগামী ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। তবে, খোলা থাকবে আবাসিক হল। সিন্ডিকেট সভা শেষে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই ঘোষণা আসে।
তবে, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার ডাক দিয়েছে চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
দুই সহপাঠী বাসের ধাক্কায় মারা যাওয়ার পর চুয়েটের শিক্ষার্থীরা টানা চারদিন আন্দোলনে অচল করে রাখে ক্যাম্পাস।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একাডেমি কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি কার্যক্রম ও হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এতে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা দুটি বাসে আগুন দেয় এবং ভিসিসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
এই পরিস্থিতিতে রাতে শিক্ষার্থীদের সাথে একাডেমিক কাউন্সিল আবারও বৈঠকে বসে। সিদ্ধান্ত হয় হল ছাড়তে হবে না।
আর একাডেমিক কার্যক্রমের বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানায়। সে প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেলে সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত জানানোর পর শিক্ষার্থীরা সেটা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে ফেরার ডাক দেয়। তবে, কী কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটা কেউ পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি।
কেউ কেউ জানায়, তাদের দেওয়া ১০ দফা দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু বলা হয়নি। এই প্রেক্ষিতে তারা অনির্দিষ্টকাল ক্লাস বর্জন করবে।
গত সোমবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। তাঁরা হলেন শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় বাসটির চালক তাজুল ইসলামকে বুধবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার বিকেল থেকেই ৯ দফা দাবিতে চুয়েটের সামনের সড়ক অবরোধ করে আসছিলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধরা। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
নিহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ, কাপ্তাই সড়ক ৪ লেইন করাসহ ১০ দফা দাবি আন্দোলনকারীদের।