নিজস্ব সংবাদদাতা, ঈদগাঁও :
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালিতে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন চিংড়ি চাষের জমিতে শকুনের নজর পড়েছে। এমনই অভিযোগ জামেয়া এদাদিয়া আজিজুল উলুম, পোকখালি-র পরিচালনা কমিটির।
মাদরাসাটির পরিচালক জানান, পৌনে একশো বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দ্বিনি এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বিভিন্ন জমি ও সরকারিভাবে পাওয়া চিংড়ি প্রকল্প জবরদখলে মরিয়া একটি ভূমিগ্রাসী চক্র। চক্রটি ইতোপূর্বে মাদরাসার কিছু জমি জবরদখলে ব্যর্থ হয়ে আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এতে তারা সফল হতে পারেনি।
জানা গেছে, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালি ইউনিয়নের পশ্চিম পোকখালি এলাকায় মাদরাসাটির মালিকানায় একটি চিংড়ি প্রকল্প রয়েছে। ১৯৯৫ সালে তৎকালিন সরকার সেটি মাদরাসার নামে দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেয়।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মাওলানা এমদাদুল্লাহ জানান, মাদরাসার মালিকানাধীন চিংড়ি প্রকল্পের সংস্কার কাজ করতে গেলে একটি চক্রের কুনজর পড়ে। তারা বিভিন্ন কৌশলে চিংড়ি প্রকল্প জবরদখলের অপচেষ্টা ও চাঁদা দাবির ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে।
মাদরাসার জমি ও চিংড়ি প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বে থাকা মাওলানা আশরাফ আলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি ভূমিগ্রাসী চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার বিভিন্ন জমি জবরদখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে। চক্রটি আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেও ব্যর্থ হয়। নুরুল আলম নামের তাদের এক সহযোগী সম্প্রতি মাদরাসার চিংড়ি প্রকল্পের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে।’
মাওলানা আশরাফ আলি আরও বলেন, ‘কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খামারপাড়ার মৃত ওবাইদুল হকের পুত্র নুরুল আলম গেলো দুই সপ্তাহ ধরে পোকখালি মাদরাসার মালিকানাধীন চিংড়ি প্রকল্প থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছেন। তিনি নিজে একজন সাংবাদিক এবং তার সহযোগী বড় মাপের আরও দুইজন সাংবাদিককে লাখ টাকা চাঁদা দিতে বারবার সরাসরি সাক্ষাতে ও মুঠোফোনে চাপ সৃষ্টি করছেন, যার তথ্য রয়েছে।’
মাওলানা আশরাফ আলি বলেন, ‘দাবি পূরণ না হওয়ায় চাঁদাবাজ চক্রটি মাদরাসার চিংড়ি প্রকল্পের নাম দিয়ে প্যারাবন কাটা হচ্ছে বলে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যাতে সত্যতার লেশমাত্র নেই। এছাড়া এবিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ধরনের হুমকি দেয়া হয়নি। উল্টো চাঁদাবাজ চক্রটি মাদরাসার বিভিন্নজনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।’
উপকূলীয় বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পোকখালিতে জামেয়া এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসার নামে একটি চিংড়ি প্রকল্প অনেক আগেই সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। যেটি এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।