ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :

 

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিএনপি। এ কারণে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও যাচ্ছে না দলটি। বরং উপজেলা নির্বাচনে দলের কেউ অংশ নিলে আগের মতোই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। অর্থাৎ প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দলটির হাইকমান্ড।

 

একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে পিছু না হটতে পুনঃঅঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। রমজানজুড়ে ইফতারপূর্ব আলোচনাসভাসহ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে সাংগঠনিক বিভাগের সঙ্গে ধারাবাহিক ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরই অংশ হিসাবে রোববার ঢাকা বিভাগীয় জেলা-উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রসঙ্গও ওঠে। বৈঠকে তৃণমূল নেতাদের মতামত জানতে চাওয়া হলে তারাও নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

 

এ সময় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে দলের কেউ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক জেলার শীর্ষ নেতারা বলেন, তাদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে দলের কেউ অংশ নিলে তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে। অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনেরও কেউ অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধেও একই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না, এটা দলের সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত থেকে দল সরে আসেনি। বরং অতীতের মতো যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের বিরুদ্ধে দল আগের মতোই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’ এদিকে জেলা নেতাদের এমন সিদ্ধান্ত জানালেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে।

 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, সেটিই সঠিক। স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করবেন না। স্থায়ী কমিটিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়তো অনুষ্ঠানিক ভাবেই জানানো হবে।

 

প্রসঙ্গত, আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪ শতাধিক উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। ফলে এ নির্বাচনে ‘নৌকা’ প্রতীক এবং আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে না।