ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংসদে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ‘১৩০০ ভবন চিহ্নিত করেছিলাম, কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা: ২০১৯ সালে অননুমোদিত ১ হাজার ৩০০ ভবন চিহ্নিত করা হলেও সেগুলো এখনও ভাঙা হয়নি বলে জানিয়েছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে আগুনের ঘটনায় আজ পর্যন্ত বিচার শুরু হয়নি বলেও তথ্য দেন তিনি।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম এ কথা জানান।

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর সেই সময় আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি তখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম, তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তার পর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি।

সরকার দলের এ সংসদ সদস্য বলেন, (২০২১ সালে) নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে ৫২ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। সেই প্রক্রিয়ার আসামিরা সব জেলে গেছেন, আজ পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।

এই জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িতদের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে বিচার করার আহ্বান জানান তিনি।

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে ভবনের প্ল্যান সঠিক নাই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অনুমোদিতভাবে নেওয়া হয়েছে সেই ভবনগুলো কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকারের দায়মুক্তি দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু আর্থ সামাজিক উন্নয়ন না, অবকাঠামো উন্নয়ন না; আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক লক্ষ্য যেটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়াগায় আমাদের পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে, আমাদের একদিকে উন্নয়ন হলো অন্যদিকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্বেও সঙ্গে বিবেচনা করবেন।