আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজাউর জেলার সিদ্দিকাবাদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম রেহান জেব খান।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বেলুচিস্তানের সিবিতে পিটিআইয়ের একটি সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে চারজন নিহত এবং ছয়জন আহত হওয়ার একদিন পর এ ঘটনা ঘটল।
খার থানার হাউস অফিসার (এসএইচও) রাশেদ খান বলেছেন, রেহান জেব খান এলাকায় প্রচার করছিলেন যখন অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিরা তার গাড়িতে গুলি চালায়। রেহানকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। হামলায় আরও চারজন আহত হন।
বাজাউর জেলা পুলিশ অফিসার কাশিফ জুলফিকার ডন ডটকমকে বলেছেন, ঘটনাটি ‘টার্গেটেড কিলিং’ বলে মনে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে, পিটিআই রেহান হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিটিআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের জনসমাবেশকে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। যা নির্বাচনের নিরপেক্ষতার বিষয়টিকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সিবিতে পিটিআই-এর নির্বাচনী সমাবেশে হামলার পর, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হত্যার দায় অযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে উল্লেখিত প্রদেশে। এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ভোটাররা।
এদিকে সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পরদিনই আরও বড় দুঃসংবাদ পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার তোশাখানা মামলায় তাকে ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন, তথা সাইফার মামলায় ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
নির্বাচনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে ইমরানের বিরুদ্ধে এমন রায় দিলেন পাকিস্তানি আদালত। ব্যাপক চাপের মধ্যেও নির্বাচনী আইকনিক ব্যাট প্রতীক ছাড়াই এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।