নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলাকারীকে শাস্তি দিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও প্রশাসন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, একজন প্রার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সেখানে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত নগণ্য ঘটনা। সেটির কোনো প্রভাব ভোটে পড়েনি। তবে যারা এটি করেছে, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তদন্ত করছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসলামী আন্দোলনের যে প্রার্থী তার মুখে ঘুষি লেগেছে বলে আমি কাগজে দেখেছি, টেলিভিশনের খবরেও শুনেছি। এতে তার কোনো রক্তক্ষরণও হয়নি।
‘তবে একজন প্রার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। সেটি যেই করুক, তার শাস্তির বিধান করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন কাজ করছে’ -বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিয়েছে। বরিশালে ৫০ শতাংশের বেশি এবং খুলনায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে না। আমার মনে হয় বিএনপির এই ভোট থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
বিএনপি ভোট বর্জন করে তাদের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দলীয় কর্মীদের ভোটে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করেছে। কিন্তু দেখা গেছে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা দুটি সিটি কর্পোরেশনের ভোটে প্রার্থী হয়েছে এবং জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন ‘বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়’ -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সমস্ত পত্রিকায় লিখেছে অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট হয়েছে। সমস্ত টেলিভিশন রিপোর্ট করেছে অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। মির্জা ফখরুল গদবাধা কথা। মির্জা ফখরুল একই টেপ-রেকর্ড থেকে রেব হতে পারছেন না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাকে আরেকটা টেপ রেকর্ড দিলে ভালো হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসলামী আন্দোলন রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে—দলটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু যারা বিজয়ী হয়েছে তারা তাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। এতে তারা বুঝতে পেরেছে আগামী দুই নির্বাচনেও তাদের কোনো ভরসা নেই। সে জন্য পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা এই ঘোষণা দিয়েছে।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: