ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংসদে চিঠি পাঠিয়েছি, জবাব এলে সংরক্ষিত আসনের তফসিল : ইসি

বিশেষ প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠির জবাব এলে সংসদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের জন্য আমরা সংসদ সচিবালয়ে চিঠি দিয়েছি, কোন দল কতটি আসন পাবে এই বিষয়ে সেই চিঠির জবাব এলে আমরা তফসিল ঘোষণা করব। এটার সময় আছে, আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। আশা করছি এই সপ্তাহে অথবা আগামী সপ্তাহে সংসদ সচিবালয়ের চিঠির জবাব পাব। নিয়ম অনুযায়ী ৩০০ আসন থেকে ৫০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়। অতএব প্রতি ছয় জন সংসদের আসনের বিপরীতে একজন নারী সংরক্ষিত আসন পাই। সেই হিসেবে রাজনৈতিক দল তার হিসাব অনুযায়ী এই আসন পাবে। আর স্বতন্ত্ররা যদি ৬ জন মিলে একটা জোট হয় তাহলে তারা একটা করে নারী আসন পাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, সামনের ফেব্রুয়ারি মাসে যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে এবং তার পরের মাসে রোজাও আসছে, সেই কারণে ঈদের পরপরই যাতে উপজেলা নির্বাচন শুরু হয় সেই অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করছি। আমরা আশা করছি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব। নির্বাচনের তফসিল রোজার শেষের দিকে বা ঈদের আগে হবে। উপজেলা নির্বাচন ব্যালটে হতে পারে ইভিএম মেশিনেও হতে পারে, আবার এই দুইটা সমন্বয়েও হতে পারে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না বলেছে, এটা আপনারা কীভাবে দেখছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে তারা দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে, সেটা দিতে পারে। আবার যদি কেউ মনে করেন দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না, সেটাও তারা করতে পারে। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের আইনে দুই ধরনের নির্বাচনের কথা বলা আছে, একটা হলো দলীয় মনোনয়ন আর একটা হলো স্বতন্ত্র মনোনয়ন। কেউ যদি স্বতন্ত্র মনোনয়নে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তিনি যদি আগে চেয়ারম্যান অথবা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হয়ে থাকেন তাহলে তাকে ২৫০ জন তার নিজ এলাকার ভোটারের স্বাক্ষর নির্বাচন কমিশনের জমা দিতে হবে। আর যদি তিনি আগে চেয়ারম্যান অথবা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাহলে তাকে আর এই ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হবে না।