বিশেষ প্রতিনিধি :
পাঁচ বছর পর জনপ্রতিনিধি বেছে নেয়ার সুযোগ আসায় ভোট দেয়ার মাধ্যমে নিজের অধিকার বুঝে নিতে চান সাধারণ ভোটাররা। কারও ভয়ভীতি কিংবা চোখ রাঙানিতে না দমে নির্বাচন করবেন পছন্দের প্রতিনিধি। প্রায় ১২ কোটি ভোটার দেশের পরবর্তী শাসক নির্বাচন করবেন এ ভোটের মাধ্যমে।
আজ ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে পরে ভোট হবে। সারা দেশের ৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ রয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
ভোটে লড়ছেন মোট ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী; বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালি আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপির। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জন।
আরও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা যা পারবেন, যা করবেন না
এবার মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ পুরুষ, আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ নারী। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।
ভোট গণনার কাজ শেষ হওয়ার পর পরই প্রত্যেক প্রিসাইডিং অফিসার ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ভর্তি সিলমোহরকৃত বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট, ভোট গণনার বিবরণী ও ব্যালট পেপারের হিসাব সরাসরি অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। তিনি প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল যোগ করে প্রত্যেক প্রার্থীর ফলাফল নির্ধারণ করবেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর জানতে ক্লিক করুন
নির্বাচনের এ মুহূর্তে চোখ সবার টেলিভিশনের পর্দায় কিংবা খবরের কাগজে। সবাই যেন রাজনীতি সচেতন। মিস করতে চাইছেন না খুঁটিনাটি কিছুই। নিজ এলাকার ভোটের তথ্যের বাইরেও আগ্রহ সারা দেশের সবকটি আসনে। প্রত্যাশা ভোট হোক শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, নির্বিঘ্ন।