মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ,ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের সদরে ও ত্রিশালে এক দিনে ছিনতাইকারীর হাতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরসহ দুই অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার সদরের গোপালনগর গ্রামের কারীর মিল নামক এলাকায় ও একই দিন দুপুরে জেলার ত্রিশাল উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে একটি কলা খেত থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে নাজিমুদ্দিন (৩৯) ও জেলার ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের নদীর পাড় এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাকিব (১৪)। তারা দু’জনই পেশায় অটোরিকশা চালক।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহত নাজিমুদ্দিন রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে গোপালনগর গ্রামের কারীর মিল নামক স্থানে পৌছালে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন নাজিমুদ্দিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে ঘাগড়া তালতলা এলাকা থেকে অটোরিকশাসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে আরও দু’জনসহ মোট তিন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রত্রিয়াধীন।
ত্রিশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নিহত রাকিব শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে হাঁটতে পারতো না। সোমবার রাকিব অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে রাকিব বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। পরে ঘটনার দিন দুপুরের পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে একটি কলা খেতে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আবু বকর ছিদ্দিক আরও বলেন, রাকিবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রাকিবের অটোরিকশার কোনো সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।