নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে সরকার। এই ডামি নির্বাচনে ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈধতা দেওয়ার সাফাই গাইলেও জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীর পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নগরের কাজীর দেউরী মোড়ে ডামি নির্বাচন বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহানগর বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়ে সরকারের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। বিদেশের কতগুলো মানুষকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক সাজিয়েছে। তাদেরকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। অর্থাৎ এই নির্বাচন হচ্ছে ডামি, প্রার্থী ডামি, পর্যবেক্ষকও ডামি, সব ভুয়া।’
‘জনগণ বিশ্বাস করে যে, একদলীয় বাকশালী সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হয়েছে, সেটি ভোট ডাকাতি আর ভোট নিয়ন্ত্রণ। চট্টগ্রামে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। কিন্তু সেটিকে ৪০ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এ নির্বাচনে কোন প্রার্থী বিজয়ী আর পরাজিত সেটি ছিল পূর্ব নির্ধারিত। সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ২০২৪ সালের নির্বাচনেও এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি।’ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একবার বলে ২৭ শতাংশ, আরেকবার বলে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা স্পষ্ট যে, ভোট যত শতাংশ পড়ুক না কেন, নির্বাচন কমিশনকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে এত শতাংশ বলতে হবে। তারা সেটাই বলছে।’
‘এই পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় চট্টগ্রামবাসীকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। এই ভোট ডাকাত সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সবাই অংশগ্রহণ করুন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সিএমইউজের সভাপতি সাংবাদিক মো. শাহনওয়াজ ও এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম।