আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের দাবি জানিয়েছে ইতালি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত তাদের নিজস্ব সম্মিলিত সেনাবাহিনী গঠন করা যেটা শান্তিরক্ষা এবং সংঘাত প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। রোববার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তোনিও তাজানি ফোরজা ইতালিয়া পার্টির প্রধান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী পদেও দায়িত্বপালন করছেন। ইতালীয় সংবাদপত্র লা স্ট্যাম্পার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তাজানি বলেন, প্রতিরক্ষা বিষয়ে ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় সহযোগিতা তার ফোরজা ইতালিয়া পার্টির কাছে অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে।
রোববার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বে শান্তিরক্ষী হতে চাই, তাহলে আমাদের একটি ইউরোপীয় সামরিক বাহিনী প্রয়োজন। এবং এটি একটি কার্যকর ইউরোপীয় পররাষ্ট্র নীতির অধিকারী হওয়ার জন্য মৌলিক পূর্বশর্ত।’
আন্তোনিও তাজানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়ার মতো শক্তিশালী খেলোয়াড়ের বিশ্বে – মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক পর্যন্ত সংকটের কারণে – ইতালীয়, জার্মান, ফরাসি বা স্লোভেনিয়ান নাগরিকরা কেবলমাত্র এমন কিছুর মাধ্যমেই সুরক্ষিত হতে পারেন যা আগে থেকেই আছে, যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন।’
রয়টার্স বলছে, প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রাজনৈতিক এজেন্ডায় উঠে এসেছে। তবে সামরিক জোট ন্যাটো সম্প্রসারণের দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ফিনল্যান্ড গত বছর এই জোটে যোগদান করেছে এবং সুইডেনও সদস্য হওয়ার পথে রয়েছে।
তাজানি আরও বলেন, ২৭ জাতির ইইউয়ের উচিত তাদের নেতৃত্বকে স্ট্রিমলাইন করা এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি ও ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতির বর্তমান কাঠামোর পরিবর্তে একটি একক প্রেসিডেন্ট থাকা উচিত।
উল্লেখ্য, গত বছর সিলভিও বারলুসকোনির মৃত্যুর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি ফোরজা ইতালিয়া পার্টির নেতা হন। ক্যারিশম্যাটিক সাবেক ওই নেতাকে হারানোর পর চলতি বছরের জুনে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন হবে তার এই দলের জনপ্রিয়তার প্রথম পরীক্ষা।