নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, আমরা সর্বাধিক বিচারিক হাকিম নিয়োগ করেছি এবারের ভোটে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন কোনো কারণে যদি না করতে পারি, যদি কোনো কারণে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাদের রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাবে। আমরা সেটা চাইবো না কারণ আমরা সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আনিছুর বলেন, আমরা মনে করি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য ভোট অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে ভোটের সময় রাষ্টের সব নির্বাহী বিভাগ সুষ্ঠু ভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। সবার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। তারই অংশ হিসেবে আমরা সবাই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবো। কোনোভাবেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না। যখন যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান আরও বলেছেন, দায়িত্ব পালনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কে কোন দল কোন মত কোন পথ এটা দেখা যাবে না। কে কোন দল কারোর পক্ষেই কেউ কাজ করছে না। একাধিক স্তরে পরিবর্তন ও প্রত্যাহর হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা বদলি হয়েছে। কোনোটাই বিনা কারণে করা হয়নি। কোথাও কোনো নির্দেশনা কোথাও থেকে যাবে না। নির্দেশনা একটাই যেটা পরিষ্কার অবাধ সুস্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যারা মাঠে থাকবেন তারা সবাই সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন।
চলমান সহিংসতা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটা রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছে। সেটা হলো নির্বাচন প্রতিহত করা এবং অসহযোগিতা করা। যদিও যতদূর জানি তারা সহিংস কোনো কাজে যাবেন না বলে মনে হচ্ছে। ২০১৪ সালে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। এবার সেই রকম কোনো অবস্থার সৃষ্টি হবে না। অন্য যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এবার সসিংসতা নাই বলা চলে। আচরণবিধি লঙ্ঘনও অন্য নির্বাচনের তুলনায় এবার কম। এতে আমরা সন্তুষ্ট তা নয় আমরা মনে করি এটা আরও কম হওয়া দরকার। কোনো ঘটনা না ঘটাই ভালো।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান প্রমুখ।