ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইংরেজী নববর্ষ ২০২৪ কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত

নিউজ ডেস্ক :

বিদায়ী বছর ২০২৩ সালের সকল দুঃখ বেদনা ভূলে গিয়ে এবং নতুন বছরের নতুন আশা-আকাঙ্খা ও উদ্দীপনা নিয়ে বিশ্ববাসীর সঙ্গে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আজ মধ্যরাতে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পুরো জাতি গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ, বিশেষ করে যুব সমাজ মধ্যরাতে ১২ টা ১ মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে নববর্ষের বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপনে মেতে উঠবে।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তায় ইংরেজী নববর্ষ ২০২৪ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে দেশের মানুষ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য বার্তা পাঠানো মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনন ও বন্ধু-বান্ধবদের শুভ কামনা জানিয়েছেন।
সাধারণত নববর্ষকে সামনে রেখে সারা বিশ্বে বিদায়ী বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক উৎসবের আয়োজন করা হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দেশ টোঙ্গা, কিরিবাতিতে ২০২৩ সালকে প্রথম বিদায় জানানো হয় এবং নতুন বছরকে বরণ করা হয়।সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন অফিস ও নানা সংগঠনও প্রতিবছর তাদের প্রিয়জনদের বরণ করে নিয়ে থাকেন। দিনটিকে তারা বিদায়ী বছরের সফলতা ও ব্যর্থতাকে পূর্নবিবেচনা করে এবং নতুন বছরে নতুন লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য পরিকল্পনা করে। একই সঙ্গে তারা নতুন বছরে অসম্পূর্ণ কাজগুলোকে সম্পন্ন করার প্রয়োজন সে কাজগুলোকে চিহ্নিত করে।
দেশের অবকাঠামো, অর্থনীতি, কৃষি, আইটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন এবং মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করাসহ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য ২০২৩ সালকে বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নববর্ষ উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নানাভাবে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করছে। সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ২৭ ডিসেম্বর দলের নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করেছেন।

বৈশ্বিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন এবং গাজা যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা স্বত্বেও বিদায়ী বছরের বাংলাদেশে অনেক যুগান্তকারী উন্নয়ন সূচিত হয়েছে। যা আগামী বছর দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যাপক সহায়তা করবে।