ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার এক্সপ্রেসে বাড়তি ভাড়া, যা বলছে রেল

বিশেষ প্রতিনিধি :

ঢাকা থেকে সমুদ্র নগরী কক্সবাজারগামী প্রথম ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ চলবে ১ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে টিকেট বিক্রি। টিকেট চালুর প্রথমদিনের একঘণ্টার মধ্যেই প্রথম তিনদিনের টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু অন্যান্য আন্তনগর ট্রেনের চেয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ভাড়া বেশি হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে প্রকাশ করছেন ক্ষোভ।

 

যাত্রীদের ক্ষোভের কারণ হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে শোভন চেয়ারে ভাড়া ৪০৫ টাকা।

 

কিন্তু আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে শোভন চেয়ারে ভাড়া লাগবে ৪৫০ টাকা। আর কক্সবাজার পর্যন্ত এ ট্রেনে শোভন চেয়ারে ভাড়া ৬৯৫ টাকা। অন্যদিকে সাধারণ আন্তনগর ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামের স্নিগ্ধায় (এসি) ভাড়া ৬৫৬ টাকা। বিরতিহীন ট্রেন স্নিগ্ধায় ভাড়া ৮০৫ টাকা। কিন্তু কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ঢাকা-চট্টগ্রাম স্নিগ্ধায় (এসি) ভাড়া ৮৫৫ টাকা। আর কক্সবাজার পর্যন্ত এ ট্রেনে স্নিগ্ধায় ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা।

 

রেল সূত্র জানিয়েছে, দেশের সব রুটেই ট্রেনের ভাড়া বাসের চেয়ে তুলনামূলক কম। আর কক্সবাজার পর্যটন নগরী হওয়ায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে পর্যটন ট্রেন বিবেচনা করেছে। এজন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ট্রেনে যে ছাড় দেওয়া হয় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে সেটা দেয়নি রেলওয়ে।

 

কক্সবাজার-ঢাকার বাণিজ্যিক দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার। ট্রেনে শোভন চেয়ার কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ১৭ পয়সা করে হলে ভাড়া দাঁড়ায় ৬২৬ টাকা। আর কক্সবাজার এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় ১০ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ ও ভ্যাট যুক্ত হওয়ায় ৬৯ টাকা যোগ হয়ে সর্বমোট ভাড়া দাড়িয়েছে ৬৯৫ টাকা।

 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হওয়া প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ তোলা এবং রেলের রাজস্ব আয় বাড়াতে ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়নি।

 

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ভাড়ায় ননস্টপ চার্জ যোগ হয়েছে। ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী দূরত্বে যে রেয়াত (ছাড়) দেওয়া হয়, তা নেই। এ কারণেই ভাড়া বেশি।

 

কক্সবাজার এক্সপ্রেস শুধু ঢাকার বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। আর কোথাও থামবে না। এ কারণে ভাড়ার সঙ্গে ১০ শতাংশ ননস্টপ চার্জ যোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

রেল সূত্র জানিয়েছে, ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটারে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। পরের ১৫০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ এবং পরবর্তী দূরত্বের জন্য ছাড় হয় ৩০ শতাংশ।