ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এডিস মশা নিধনে নির্দেশনা অনুসরণ করতে রিহ্যাব সদস্যদের চিঠি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:সিএনএন বাংলা২৪

নির্মাণাধীন প্রকল্পের ভেতরে ও চারপাশে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা নিধনে করণীয় ও দিক নির্দেশনা অনুসরণ করতে সব সদস্যদের চিঠি দিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

এর আগে গত ২৩ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে এডিস মশা নিধনে করণীয় ও দিক নির্দেশনা বিষয়ে রিহ্যাবের সঙ্গে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় বলা হয়, এডিস মশা বংশ বিস্তারের ব্যাপক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মরণঘাতি এই মশার উৎস নির্মূল করতে সিটি কর্পোরেশন চার মাসব্যাপী (আষাঢ়, শ্রবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন) কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণাধীন প্রকল্প ভবন ম্যাজিস্ট্রেটসহ পরিদর্শন করাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় রিহ্যাব সদস্যদের নির্মাণাধীন প্রকল্পের ভেতরে ও চারপাশে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা নিধনে সতর্কতা ও দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করা আবশ্যক। ভবন নির্মাণ প্রকল্পে জমে থাকা পানিতে উৎসে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে তাই বিভিন্ন নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৭ মে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) স্বাক্ষরিত সদস্যের প্রতি চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন ভবনের লিফট কোরের খালি জায়গায় যেন পানি জমতে না পারে সেজন্য লিফট লাগানোর আগ পর্যন্ত বালি দিয়ে স্থানটি ভরাট করে রাখা আবশ্যক।

এছাড়া নির্মাণাধীন ভবনে কোনো ধরনের পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ৩ দিন অন্তর অন্তর ব্লিচিং পাউডার, লবণ, মসকিটন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি চৌবাচ্চাসহ কনস্ট্রাকশন সাইটের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিশেষ করে যেন কোনো ধরনের পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নর্দমা ও আশেপাশের পানি জমার স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এছাড়াও প্রকল্পের ভেতরে ও চারপাশে জমে থাকা পানি প্রতিদিন ফেলে দিতে হবে বা পরিবর্তন করতে হবে।

 

চিঠিতে আরও বলা হয়, সিটি কর্পোরেশনের বিজ্ঞপ্তি ও রিহ্যাবের দিক নির্দেশনা অনুসারে সব রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানকে নতুন ভবন নির্মাণ ও পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এডিস মশা নিধনে আবশ্যিকভাবে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠান শুধু জরিমানার সম্মুখীন হবে না, একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করবে। এই অবস্থায় নির্মাণাধীন প্রকল্পের অভ্যন্তরে ও চারিপার্শ্বে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা নিধনে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুসরণ করার বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।